বাঙালি এখন আন্তর্জাতিক, নববর্ষে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাইব

সুব্রত মুখোপাধ্যায়

Updated By: Apr 15, 2021, 07:29 PM IST
বাঙালি এখন আন্তর্জাতিক, নববর্ষে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাইব

সুব্রত মুখোপাধ্যায়

আমাদের ছেলেবেলায় পয়লা বৈশাখ ছিল উৎসবমুখর। বাঙালি বাড়িতে পুজো দেওয়া, হালখাতার চল ছিল। স্কুলে হত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানিক। পুজোর লাইন পড়ত কালীঘাট ও দক্ষিণশ্বরে। পুজো, বড়দের প্রণাম, ছুটির আমেজ ও খাওয়াদাওয়া- সবমিলিয়ে উৎসবের আমেজ থাকত প্রতিটা বাঙালি পরিবারে। সে সব এখন আর নেই। কলকাতার সংস্কৃতি বড্ড বদলে গিয়েছে! বাঙালিয়ানাকে গ্রাস করেছে বাইরের সংস্কৃতি। এখন আমরা ধনতেরাস করি। ধনতেরাসের সঙ্গে বাঙালির কোনও সম্পর্ক নেই। বাঙালি আর পয়লা বৈশাখ উদযাপন করে না। বাংলা কবিতা, আবৃত্তির প্রতিযোগিতা হত পাড়ায় পাড়ায়। এখন বাঙালি হয়ে উঠেছে আন্তর্জাতিক। সমস্ত সংস্কৃতিকেই নিজেদের মধ্যে একাত্ম করে নিচ্ছি। হারিয়ে যাচ্ছে বাঙালিয়ানা।  

রাজনৈতিক পরিসরেও পয়লা বৈশাখের আলাদা মাধুর্য্য ছিল। পার্টির বড় দাদাদের প্রণাম করতাম। সাজপোশাকে থাকত বাঙালিয়ানা। সারাবছর ধুতি পরতেন না, এমনও লোককেও দেখেছি পয়লা বৈশাখে ধুতি পরেছে। বিকেলে হত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ কলকাতা পুরোটাই পাল্টে গিয়েছে। বড়দের প্রণাম করা তো লাটে উঠেছে। বাঙালিয়ানা বলে যা ছিল তা আর নেই। ওই অল্পস্বল্প কোথাও কোথাও আছে! অবাঙালিদের প্রভাবই কলকাতায় এখন বেশি। সেটাও একটা কারণ। আর টিভি ও খবরের কাগজের প্রচারেও পয়লা বৈশাখ গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। 

কলকাতা ছেয়ে গিয়েছে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে। তার সঙ্গে অবাঙালিদের প্রভাব। সোনা, রুপোর কথা জানি না! তবে নববর্ষে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতির পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাইব।

আরও পড়ুন- পয়লা বৈশাখে কানে বাজছে জেএনইউ-র ঢাকের আওয়াজ, মিস করছি বন্ধুদের
           

.