JU Student Death: অভিযুক্তরা আরও বিপাকে, স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে এবার পকসো ধারায় মামলা!
JU Student Death: স্বপ্নদীপের ডাইরিতে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। সেই চিঠিটিকে নিয়ে নতুন কর রহস্য দানা বাঁধছে। ডিনকে লেখা সেই চিঠিতে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠে আসছে। চিঠিটিতে তারিখ হিসেবে ১০ আগস্ট উল্লেখ থাকলেও স্বপ্নদীপ আসলে হস্টেলের তিনতল থেকে পড়ে যায় ৯ তারিখ রাতে
বিক্রম দাস: যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুন্ডুর মৃত্যুতে এবার অত্যন্ত কড়া ধারায় মামলা করতে চলেছে পুলিস। আগামিকাল আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করার আবেদন জানাবে কলকাতা পুলিস। কারণ মৃত স্বপ্নদীপের বয়স আঠারো বছর হয়নি। সে নাবালক।
আরও পড়ুন-যাদবপুরে পড়তে এসে মৃত্যু স্বপ্নদীপের, Ragging আটকাতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের
কলকাতা পুলিসের আবেদন যদি গৃহীত হয় তাহলে স্বপ্নদীপের মৃত্যু ঘটনার বিচারের অন্য একটি দিক খুলে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ অত্যন্ত কড়া এই আইনে বিচার হলে অভিযুক্তদের অনেকেই কড়া শাস্তি পেতে পারে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে এফআইআর হয়েছে। সেখানে ৩০২ ধারায় খুনের অভিযোগ ও ৩৪ ধারা অর্থাত্ কমন ইনটেনশন, এই দুই ধারায় মামলা রুজু করা হয়। কিন্তু আজই শিশুসুরক্ষা কমিশনের পরামর্শদাতা প্রশ্ন তোলেন স্বপ্নদীপ এখনও নাবালক। তাই পুলিস কেন পকসো আইনে মামলা করছে না? এর মধ্যেই জানা যাচ্ছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও একটি ধারা যোগ করার জন্য আগামিকালই আদালতে আবেদন করা হবে। অর্থাত্ পকসো ধারা যুক্ত করা হচ্ছে।
এদিকে পকসো আইনে মামলা হলে তা চলে যাবে পকসো আদালতে। তা যদি শেষপর্যন্ত হয় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তার গুরুত্ব আরও গুরুতর হয়ে উঠবে। কেন পকসো আইন? তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, স্বপ্নদীপের বয়স ১৮ হয়নি। তার বয়স ১৭ বছর ১ মাস। পাশাপাশি তাকে প্রায় নগ্ন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সেখানে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। সেক্ষেত্রে স্বপ্নদীপের উপরে সেকানও যৌন নির্যাতন হয়েছিল কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, স্বপ্নদীপের ডাইরিতে একটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে। সেই চিঠিটিকে নিয়ে নতুন কর রহস্য দানা বাঁধছে। ডিনকে লেখা সেই চিঠিতে ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠে আসছে। চিঠিটিতে তারিখ হিসেবে ১০ আগস্ট উল্লেখ থাকলেও স্বপ্নদীপ আসলে হস্টেলের তিনতল থেকে পড়ে যায় ৯ তারিখ রাতে। পরদিন তাঁর মৃত্যু হয়। পড়ে যাওয়া থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তার সংজ্ঞা ফেরেনি। তাহলে ওই চিঠি লিখল কে?
স্বপ্নদীপের ডায়েরির পাতায় লেখা ওই চিঠিটি লেখা হয়েছে ডিন অব স্টুডেন্টসকে। সেখানে স্বপ্নদীপ লিখছে তাকে হস্টেলে থাকতে নিষেধ করা হচ্ছে। এক ছাত্রের নাম করে স্বপ্নদীপ লিখছে সে তাকে হস্টেলে থাকতে নিষেধ করছে। কারণ হস্টেলে র্যাগিং হয়। ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে। কিন্তু গোলমাল অন্য জায়গায়। চিঠিতে তারিখ দেওয়া হয়েছে ১০ আগস্ট। এটা কীভাবে সম্ভব? কারণ তার আগের দিন রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ স্বপ্নদীপ হস্টেল থেকে পড়ে গিয়েছিল। পরদিন অর্থাত্ ১০ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।
চিঠিতে উঠে এসেছে, এক ছাত্র নাকি তাকে ভয় দেখিয়েছিল? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বক্তব্য, গত ৭ আগস্ট স্বপ্নদীপের সঙ্গে তার ক্লাসে দেখা হয়েছিল। ক্লাসেই তার সঙ্গে স্বপ্নদীপের কথা হয়। স্বপ্নদীপ জানায় মেইন হোস্টলে সে থাকে। সেই কথা শুনে অভিযুক্ত ছাত্রটি বলে, হস্টেলে যখন থাকো তখন একসঙ্গে থেকো। কারণ মেইন হস্টেলে বহুবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই কথা একান্তে হয়নি, ক্লাসে অনেকের সামনেই তা হয়েছে। এখন প্রশ্ন ওই কথা যদি হয়েও থাকে তাহলে স্বপ্নদীপ ৮ ও ৯ তারিখ কাউকে কিছু জানাল না? এর মধ্যে বাড়িতে ফোন করে বাবাকেও ক্লাস সম্পর্কে, বিশ্ববিদ্যালের পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিয়েছিল। কিন্তু এরকম একটি কথা সে বাড়িতে বলল না? আর যদিওবা তা লিখিল তাও তা মৃত্যুর পরদিন? এখানেই প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? এর পেছনে কে?
চিঠিতে উঠে এসেছে, এক ছাত্র নাকি তাকে ভয় দেখিয়েছিল? যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তার বক্তব্য, গত ৭ আগস্ট স্বপ্নদীপের সঙ্গে তার ক্লাসে দেখা হয়েছিল। ক্লাসেই তার সঙ্গে স্বপ্নদীপের কথা হয়। স্বপ্নদীপ জানায় মেইন হোস্টলে সে থাকে। সেই কথা শুনে অভিযুক্ত ছাত্রটি বলে, হস্টেলে যখন থাকো তখন একসঙ্গে থেকো। কারণ মেইন হস্টেলে বহুবার র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। ওই কথা একান্তে হয়নি, ক্লাসে অনেকের সামনেই তা হয়েছে। এখন প্রশ্ন ওই কথা যদি হয়েও থাকে তাহলে স্বপ্নদীপ ৮ ও ৯ তারিখ কাউকে কিছু জানাল না? এর মধ্যে বাড়িতে ফোন করে বাবাকেও ক্লাস সম্পর্কে, বিশ্ববিদ্যালের পরিবেশ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানিয়েছিল। কিন্তু এরকম একটি কথা সে বাড়িতে বলল না? আর যদিওবা তা লিখিল তাও তা মৃত্যুর পরদিন? এখানেই প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি তদন্তের মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে? এর পেছনে কে?