নোবেল চোর ধরতে ফের নড়চড়ে বসল রাজ্য, তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে নবান্ন
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল পদক উদ্ধার করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। নোবেল কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরকে পাঠানো ওই চিঠিতে, নোবেল চুরির তদন্তভার CBI এর হাত থেকে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হবে।
ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চুরি যাওয়া নোবেল পদক উদ্ধার করতে উদ্যোগী হল রাজ্য সরকার। নোবেল কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরকে পাঠানো ওই চিঠিতে, নোবেল চুরির তদন্তভার CBI এর হাত থেকে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হবে।
আরও পড়ুন- নোবেল চুরি নিয়ে সব খবর
প্রশাসনের অ্যাকশন
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে রবি ঠাকুরের নোবেল পদক উদ্ধারের তোড়জোড় শুরু করে দিল রাজ্য সরকার। নোবেল কাণ্ডে তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি পাঠাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। নবান্নে মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন।
কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরকে পাঠানো চিঠিতে, নোবেল চুরির তদন্তভার CBI এর হাত থেকে রাজ্যের হাতে তুলে দেওয়ার আর্জি জানানো হবে। ২০০৪ সালে পদক চুরির পর থেকে CBI তার তদন্তে যতদূর এগিয়েছিল, সেই সংক্রান্ত নথিও চাইবে রাজ্য সরকার।
কেন্দ্র কি রাজ্যের আর্জিতে সাড়া দেবে?
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে নোবেল চুরির তদন্তের দায়িত্ব চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য। অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তার কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
এবার রাজ্য সরকার আরও বেশি তত্পর। বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে রাজ্যকে দিয়ে নোবেল তদন্ত করানোর কথা বলেছেন, তা নিছক তাত্ক্ষণিক আবেগ থেকে নয়। গোয়েন্দা তদন্তে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নোবেল কাণ্ডে এগোতে চায় রাজ্য।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বভারতীতে নোবেল সহ একের পর এক চুরির ঘটনা দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে।
ক্যাম্পাস থেকে আস্ত চন্দনগাছ চুরি
শ্রীনিকতনে আবহাওয়া দফতর থেকে চুরি
এমনকি ছাত্রছাত্রীদের হস্টেল থেকে চুরি
বিশ্বভারতীতে চুরির ট্রেন্ড চলছেই। কেন্দ্রের চিঠি পেয়ে স্বরাষ্ট্র দফতর CID কে বিষয়টি দেখতে বলে। CID ভবানীভবন থেকে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল তৈরি করে শান্তিনিকেতন পাঠায়। গোয়েন্দাদলটি বেশ কয়েক মাস বোলপুরেই বেশ কয়েক মাস । বলা হল, গোটা বিষয় নিয়ে এনকোয়্যারি করতে এবং একটি রিপোর্ট দিতে। সেই দল সরাসরি শান্তিনিকেতন চলে যায়। বেশ কয়েক মাস গোয়েন্দাদল বোলপুরেই ঘাঁটি গেড়ে থাকে। ওই তদন্তকারীদ দল cid কে রিপোর্ট দিল নিরাপত্তায় বহু জায়গায় পাঁকফোকর রয়েছে। ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতন থানা তৈরি করা হোক। সিসিটিভি সার্ভেল্ান্স থাকুক। যে চুরি হচ্চে, বেশ কয়েকটি গ্যাং রয়েছে পিছনে। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়। নিতান্ত ছোটখাটো চোর। এই তদন্ত করতে গিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গোয়েন্দাদের কাছে উঠে আসে। নোবেল চুরি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
কীভাবে চুরি হল তার তথ্য পেলেও কার কার হাত বদল হয়ে নোবেল কোথায় গেল, সেই ট্রেল খুঁজে বেড়াচ্ছিল গোয়েন্দারা। প্রায় দশ মাস ধরে গোয়েন্দাদের দলটি প্রতি নিয়ত ছিল। সেই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানো হয় ভবানীভবনের শীর্ষ কর্তারা জানান নবান্নে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল রাজ্য পুলিস বা সিআইডির টিম এই ঘটনার তদন্তের সুযোগ পায়নি। ছদিনের মাথায় তদন্তের দায়িত্ব পায় সিবিআই। সিবিআই পরে এই কেস ক্লোজ করে দেয়। নোবেল সন্ধানে অগ্রগতি পেয়েছে বলে খবর।