এবার শিশু চুরি ন্যাশনাল মেডিক্যালে

রীতিমত পরিকল্পনা করেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি হয়েছে তানিশ ফতিমার শিশুপুত্রকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এব্যাপারে নিশ্চিত পুলিস।

Updated By: Jan 14, 2012, 01:30 PM IST

রীতিমত পরিকল্পনা করেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ থেকে চুরি হয়েছে তানিশ ফতিমার শিশুপুত্রকে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এব্যাপারে নিশ্চিত পুলিস। ঘটনার পর হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি, ওয়ার্ডে বহিরাগতদের অবাধ যাতায়াত নিয়েও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছিলেন তানিশ ফতিমা। রাত সাড়ে ১০টায় একটি সুস্থ পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। বৃহস্পতিবার গোটা দিন ভালোই ছিল মা ও শিশু। শুক্রবার বেলা গড়াতেই বিপত্তির সুত্রপাত। পেটে অসহ্য যন্ত্রণা বোধ করতে থাকেন তানিশ। ওষুধ দেবার জন্য এগিয়ে আসেন এক মধ্যবয়সী মহিলা। যিনি আগে থেকেই নিজেকে অন্য এক প্রসূতির আত্মীয়া হিসেবে পরিচয় দিয়ে ফতিমার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছিলেন। কে তিনি, কী তার পরিচয়, কেন ওয়ার্ডের মধ্যে তার অবাধ বিচরণ?  জানার চেষ্টাও করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার দেওয়া ওষুধ, যা আসলে ন্যান্ড্রয়েড জাতীয় মাদক, খেয়ে জ্ঞান হারান ফতিমা। জ্ঞান ফেরার পর দেখেন, পাশে নেই সদ্যোজাত। এরপর তন্ন তন্ন করে খোঁজ শুরু হয়। যদিও বৃথা যায় কোলের শিশুকে ফিরে পাওয়ার যাবতীয় চেষ্টা।

নিখোঁজ শিশুটির বাবা জানান, এরপরই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা শুরু করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সদ্যোজাতের হদিস পেতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে বসেন হাসপাতালের সুপার ও বেনিয়াপুকুর থানার পুলিসকর্মীরা। সেখানে বোরখায় রহস্যাবৃত এক মহিলাকে ওয়ার্ডে বার বার ঢুকতে দেখা গিয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কমপক্ষে ১৫বার প্রসূতি বিভাগে যাতায়াত করেছেন ওই মহিলা। ভিজিটিং আওয়ার ছাড়া যেখানে ঢোকার অধিকার রয়েছে একমাত্র ডাক্তার, নার্স, মেট্রন এবং গ্রিনকার্ডধারী রোগীর আত্মীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিরাপত্তারক্ষীরা বলছেন, গ্রিনকার্ড নিয়েই ওয়ার্ডে বার বার ঢুকত ওই সন্দেহভাজন। কোথা থেকে তার কাছে এল গ্রিনকার্ড? তিনি কি সত্যিও কোনোও প্রসূতির আত্মীয়া? নাকি তার গ্রিনকার্ডটি জাল? শুরু হয়েছে তদন্ত। সুপার অবশ্য বলছেন, রোগীর সঙ্গে একাধিক আত্মীয় পরিজন হাসপাতালে ঢুকে পড়ায় প্রত্যেককে নিরাপত্তা দেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় কাঁটা হয়ে আছেন হাসপাতালের বাকি রোগীরা।

.