রাতের কলকাতায় ফের ধর্ষণ
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের পর ফের প্রশ্নের মুখে রাতের কলকাতার নিরাপত্তা। এবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল রাজারহাটে। বৃহস্পতিবার রাতে এসএসকেএমে অসুস্থ স্বামীকে দেখে বেসরকারি ভাড়া গাড়িতে ফিরছিলেন এক মহিলা। শিয়ালদহ যেতে বলা হলেও তাঁকে ট্যাক্সি চালক তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের কাছে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন তিনি।
ফের রাতের কলকাতায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। আজ ভোররাতে এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত ভাড়া গাড়ির চালককে পুলিস গ্রেফতার করেছে। হাসপাতালে অসুস্থ স্বামীকে দেখে বাড়ি ফেরার পথে এই ধর্ষনের ঘটনা রাতের কলকাতার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
হাসপাতালে অসুস্থ স্বামীকে দেখে এসএসকেএম চত্বর থেকে ভাড়া গাড়িতে উঠেছিলেন এক মহিলা। গন্তব্য ছিল শিয়ালদহ। কিন্তু ধর্মতলা হয়ে চালক তাঁকে নিয়ে যায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সামনে। নিজের শরীর খারাপের কথা বলে সেখান থেকে হাবিব রহমান নামে আরেক গাড়ি চালককে ওই গাড়িতে তোলে মমতাজ খান।
রাস্তায় মহিলার কাছ থেকে তিন হাজার টাকা, সোনার চেন ও সোনার বালা ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্ত মমতাজ। হাবিব বাধা দিতে গেলে তাকেও মমতাজ মারধর করে বলে অভিযোগ। এরপর গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় রাজহাটে। সেখানে গাড়ির মধ্যেই ওই মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়।
এরপর মহিলাকে বেলেঘাটা ব্রিজের কাছে ছেড়ে দিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে শিয়ালদহ ফ্লাইওভারে গিয়ে টহলরত পুলিসকর্মীদের দেখা পান ওই মহিলা। তাঁদের তিনি গোটা ঘটনা জানান। খবর যায় এন্টালি থানায়। পুলিসের তত্পরতায় ধরা পড়ে যায় মূল অভিযুক্ত।
শুক্রবার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে ওই মহিলার। মূল অভিযুক্ত গাড়িচালক মমতাজ খানেরও মেডিক্যাল টেস্ট করিয়েছে পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে মহিলার অভিযোগের স্বপক্ষে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। এরপরই পুলিস গ্রেফতার করে মমতাজ খানকে। গাড়িটির ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে পুলিসসূত্রে খবর। তার কারণ গাড়ির মধ্যেও মিলেছে রক্তের দাগ। এই ঘটনায় হাবিবকে সাক্ষী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুলিস।