Haridevpur: প্রেমে কাঁটা, মেয়েকে খুন করতে পুলিস বয়ফ্রেন্ডের কথায় ঘরে আগুন মায়ের!
বাথরুম থেকে কাউকে ফোন করছিলেন তার মা। মাকে সে ফোনে বলতে শোনে, “ঘরে আগুন লাগলেও মেয়ে বেঁচে গিয়েছে”।
পিয়ালি মিত্র: প্রেমে পথের কাঁটা মেয়ে। তাই মেয়েকে রাস্তা থেকে সরাতে পুলিস বয়ফ্রেন্ডের কথা মতো ঘরে আগুন লাগাল মা! এই ঘটনায় মা ও তাঁর পুলিস কনস্টেবল বয়ফ্রেন্ডকে গ্রেফতার করেছে হরিদেবপুর থানা। জানা গিয়েছে, মহিলার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের দাম্পত্য সমস্যা। ডিভোর্স না হলেও মহিলা মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতেন। বাবার মৃত্যুর পর খাদ্য দফতরের চাকরির পান অভিযুক্ত মহিলা। মেয়েকে নিয়ে হরিদেবপুরে একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন।
পুলিস জানতে পেরেছে, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বারাসতের পুলিস লাইনের কনস্টেবল প্রসূন মান্নার সঙ্গে আলাপ হয় সোনালি চন্দার। অল্প সময়ের মধ্যেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। কিন্তু দুজনের মধ্যে “কাঁটা” হয়ে দাঁড়ায় স্কুল পড়ুয়া মেয়ে। পুলিস সূত্রে খবর, গতকাল ভোর ৪ টো নাগাদ ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। কোনওরকমে ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে এসে প্রাণে বাঁচে মেয়েটি। পুলিস-দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ আনে। পরে মায়ের সঙ্গে প্রেমিকের কথোপকথনে শুনতে পায় কিশোরী মেয়ে। পুলিসের কাছে ১৬ বছরের কিশোরী দাবি করে, বাথরুম থেকে কাউকে ফোন করছিলেন তার মা। মাকে সে ফোনে বলতে শোনে, “ঘরে আগুন লাগলেও মেয়ে বেঁচে গিয়েছে”।
তার থেকেই সন্দেহ হয় মেয়ের। পরে মায়ের মোবাইল ঘেঁটে দেখে সে। তা দেখেই ওই কিশোরী জানতে পারে যে, মা প্রেমিকের কথা মতো তাকে আগুনে পুড়িয়ে খুনের চেষ্টা করছে। টেলিগ্রামে চ্যাট থেকে ওই স্কুল ছাত্রী জানতে পারে যে, তার মা প্রেমিকের কথা মতো তাকে খুনের চেষ্টা করছেন। চ্যাটের প্রেমিক কিশোরীর মাকে কখনও অ্যাসিড দিয়ে মারতে বলছে তো কখনও আগুনে পুড়িযে মারতে বলছে। আবার এমনভাবে আগুন লাগাতে বলা হয় যাতে মেয়েটির মায়ের জিনিসপত্রেও আগুন লাগে। যাতে কেউ মায়ের উপর সন্দেহ করতে না পারে।
এই সব চ্যাটের স্ক্রিনশট নিয়ে এবং সেগুলির প্রিন্টআউট নিয়ে এসে ওই কিশোরী হরিদেবপুর থানায় গতকাল দুপুরে অভিযোগ জানায়। তারপরই তদন্তে নেমে প্রথমে মা-কে গ্রেফতার করে পুলিস। পরে তাঁর প্রেমিক পুলিস কনস্টেবলকেও গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন, Cattle Smuggling case: এনামুলের কোম্পানির সঙ্গে ৫০ কোটিরও বেশি লেনদেন রবিন টিব্রেওয়ালের!