আমি হতাশ, ৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি: মিঠুন
মূলত, গোষ্ঠী কোন্দল নয়, সংগঠনের কাজে জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। মিঠুন এদিন বলেন, সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করুন। সমন্বয়ের অভাব থাকলে আগামী দিনে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন না। আজকের বৈঠকে বার্তা দিলেন মিঠুন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বালুরঘাটের পাওয়ার হাউস এলাকার নিউটাউন পল্লী পাঠাগারে দুর্গা পূজার উদ্বোধন করতে এসেছেন মিঠুন চক্রবর্তী। বাংলায় এসেই বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছে তাকে। তবে বালুরঘাট যাওয়ার আগে বিজেপির হেস্টিংস দফতরে মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করছেন তিনি। এদিন তিনি বলেন, 'আমি একজন ফাইটার, যাকে নবার নকডাউন করেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। শেষ যে পাঞ্চ মেরেছিলাম সেটা মনে থাকবে। ঠিক সময়ে পাঞ্চ দেব। কর্মীদের একটাই বার্তা লড়াই করতে হবে।'
মূলত, গোষ্ঠী কোন্দল নয়, সংগঠনের কাজে জোর দেওয়ার বার্তা দিলেন তিনি। মিঠুন এদিন বলেন, সমন্বয়ের সঙ্গে কাজ করুন। সমন্বয়ের অভাব থাকলে আগামী দিনে শাসক দলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবেন না। আজকের বৈঠকে বার্তা দিলেন মিঠুন। পাশাপাশি ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তের পাশে থাকার ও নবান্ন অভিযানে আক্রান্ত দের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছে বিজেপির কর্মীরাও। পুজো মিটলেই এব্যাপারে জানানোর আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
বাঙালির পুজো নিয়ে তিনি বলেন, 'পশ্চিমবঙ্গের পুজো সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। হাজারো কষ্টের মধ্যে বাঙালি উৎসব পালন করবে।' বিগত কয়েক মাসে বাংলায় বিভিন্ন নেতা- মন্ত্রীদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে। এদিন সেই প্রসঙ্গে অভিনেতাকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন,'৪৩ বছরের কেরিয়ারে ২০০ কোটি টাকা দেখিনি। এসব দেখে আমি হতাশ। কার কাছে টাকা পাওয়া গেল না গেল তার জবাব তারাই দেবেন। মহালয়ার আগে পুজো উদ্বোধন হয় না এটা ব্যতিক্রম। কে কোন সময়ে পুজো করবেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়।'
পুজোয় উদ্বোধন কেন করছেন না মিঠুন? তাহলে কি রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে? এখানে বিতর্কের আঁচ না বাড়িয়ে মিঠুন বলেন, 'এখন স্টারডাম বেড়েছে কিন্তু শারীরিক সেই জোর নেই। তবে দুর্গাপুজো উদ্বোধন করতে কেউ বাধা দেয়নি আমায়।' প্রসঙ্গত, মিঠুনের পুজো সফর শুরু হতেই বিতর্ক। বিভিন্ন জেলায় একাধিক পুজোর কর্মসূচি রয়েছে তাঁর।
আরও পড়ুন, মিঠুনের পুজো সফরের শুরুতেই বিতর্ক, মিলল না সার্কিট হাউসে থাকার অনুমতি