ত্রিফলা, তেল, কুপনের পর এবার মেডিক্লেম বিতর্কে কলকাতা পুরসভা

নয়া বিতর্কে কলকাতা পুরসভা। ত্রিফলা বিতর্ক, তেল বা কুপণ বিতর্কের পর এবার মেডিক্লেমে অনিয়ম। যে পরিমাণ টাকা মেডিক্লেম করা হয়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা চিকিত্‍সা বিমা বাবদ তুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত পুরসভারই ইন্টারনাল অডিটের রিপোর্টে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় পঁচিশ জন পুরকর্মী। একের পর এক বেনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার কলকাতা পুরসভা। এবার বিতর্ক মেডিক্লেম ঘিরে।

Updated By: Aug 22, 2014, 04:46 PM IST
ত্রিফলা, তেল, কুপনের পর এবার মেডিক্লেম বিতর্কে কলকাতা পুরসভা

কলকাতা: নয়া বিতর্কে কলকাতা পুরসভা। ত্রিফলা বিতর্ক, তেল বা কুপন বিতর্কের পর এবার মেডিক্লেমে অনিয়ম। যে পরিমাণ টাকা মেডিক্লেম করা হয়েছে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টাকা চিকিত্‍সা বিমা বাবদ তুলে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত পুরসভারই ইন্টারনাল অডিটের রিপোর্টে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযুক্তের কাঠগড়ায় পঁচিশ জন পুরকর্মী। একের পর এক বেনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার কলকাতা পুরসভা। এবার বিতর্ক মেডিক্লেম ঘিরে।

পুরকর্মীদের একাংশ তাঁদের মেডিক্লেমের প্রাপ্য টাকার চেয়ে অনেক বেশি অঙ্কের টাকা তুলে নিয়েছেন। পুরসভার ইন্টারনাল অডিটের প্রাথমিক রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে এমনই বিস্ফোরক তথ্য।
বাম পুরবোর্ডের শেষদিকে তত্‍কালীন পুর সচিব রীতেন্দ্র নারায়ণ বসু রায়চৌধুরীর নজরে আসে বিষয়টি। তিনিই বিষয়টি কমিশনার খলিল আহমেদকে জানান।

এরপরই ২০১০-১১ আর্থিক বর্ষে  মেডিক্লেমের টাকা নিয়ে অনিয়মের আশঙ্কায় ইন্টারনাল অডিট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুরসভার অডিট দফতরের আধিকারিকদের মতে, থার্ড পার্টি ও পুর সচিবালয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পুরকর্মীরাই এই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।  

অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী, মেডিক্লেমের সর্বাধিক প্রাপ্য ছিল ৫০ হাজার টাকা।  
অথচ বিমা সংস্থা থেকে চিকিত্‍সার খরচ বাবদ কেউ ৬০ হাজার, আবার কেউ ৮০ হাজার টাকারও বিল পেশ করেছেন।  
সবচেয়ে আশ্চর্যের,  সীমা অতিক্রম করে গেলেও সেই টাকা তাঁরা পেয়ে গেছেন।

আয়া চার্জ, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ডাক্তার দেখানোর ফি--এসব মেডিক্লেমের আওতায় পড়ে না। অথচ এর খরচও তুলে নেওয়া হয়েছে মেডিক্লেম থেকে।

বহুক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, চিকিত্‍সাবাবদ যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে বলে বিল জমা পড়েছে, তার চেয়ে বেশি টাকা পুরসভার তরফে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আগে পুরসভার এইসমস্ত নথি কম্পিউটারে তোলা হত না। সে কারণে বিল নিয়ে এত বড় দুর্নীতি, গোলমাল করা সহজ হয়েছে বলে মনে করছেন পুর আধিকারিকরা।

অডিট রিপোর্ট সামনে আসার পর বেশ কয়েকজন পুরকর্মীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে অবসর নিয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিয়ে ধন্ধে পুর-প্রশাসন।

 

.