যেখানে যা দুর্বলতা ভোটের আগে তা মেরামত করতে নিজেও মাঠে নেমে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
ওয়েব ডেস্ক: যেখানে যা দুর্বলতা ভোটের আগে তা মেরামত করতে হবে। দলকে নির্দেশ দেওয়াই শুধু নয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজেও মাঠে নেমে পড়েছেন। আজ যেমন গেলেন ফুরফুরা শরিফে।
দু-হাজার ছয়ের নভেম্বরে লোকসভায় পেশ হয় সাচার কমিটির রিপোর্ট। হাতে গরম তথ্য পরিসংখ্যানে জানা যায় পশ্চিমবঙ্গে ভাল নেই মুসলিমরা। রাজনৈতিক, আর্থ-সামাজিক সব দিক দিয়েই তাঁরা পিছিয়ে। সাচার রিপোর্ট সামনে আসার পরই বামেদের পাশ থেকে মুসলিম মন সরে যায়। আর নন্দীগ্রামের ঘটনার পর কার্যত ধস নামে সিপিএমের মুসলিম ভোট ব্যাঙ্কে। বিভিন্ন মহল থেকে এ কথা বারবার শোনা গেছে। দু-হাজার এগারোর পালাবদলে মুসলিম ভোট বড় ভূমিকা নেয় বলেই মনে করে রাজনৈতিক মহল।
পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যার সাতাশ শতাংশ মুসলিম। মুর্শিদাবাদ, মালদা, উত্তর দিনাজপুর, বীরভূম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কোচবিহার ও দক্ষিণ দিনাজপুর - এই দশ জেলায় জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ মুসলিম। রাজ্যে এক-চতুর্থাংশেরও বেশি, পঁচাত্তর থেকে আশিটি বিধানসভায় প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করে মুসলিম ভোট। রাজনৈতিক মহলের মতে এই পরিসংখ্যানই বুঝিয়ে দিচ্ছে কেন জমিয়তের সভায় মুখ্যমন্ত্রী। কেনই বা ফুরফুরা শরিফে ছুটে যাচ্ছেন তিনি। রাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় একটা অংশের ওপর ফুরফুরার প্রভাব রয়েছে। বিচ্ছেদ পর্বে মুকুল রায়, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী, এমনকি বাম নেতাদেরও পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির কাছে যেতে দেখা গেছে। ভোটের আগে সেই তালিকায় নাম লেখালেন মমতাও।
বিরোধীরা বলছেন, হ্যাঁ। গত কয়েকবছরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নানা সংখ্যালঘু সংগঠনের ক্ষোভ শোনা গেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন পিরজাদা ত্বহা সিদ্দিকিও।তাই, ত্বহার মানভঞ্জনেই ফুরফুরায় মমতা। তবে, শুধু মুখ্যমন্ত্রী কেন? সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষেরাই বলছেন, ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই নানা দলের ভিড় বাড়বে ফুরফুরায়।