'দালালকে টাকা দিলে চিকিৎসা, বাম আমলে অনায়াসেই রোগী ভর্তি হতো', SSKM নিয়ে বিস্ফোরক মদন
Madan Mitra at SSKM: দালালকে টাকা দিলে চিকিৎসা, ফূর্তি করছে ডাক্তাররা, মধ্যরাতে SSKM এ গিয়ে বিস্ফোরক মদন। এসএসকেএম এ নিজে এসেও রোগী ভর্তি করতে পারলেন না মদন মিত্র। এরপরই তুললেন বিস্ফোরক সব অভিযোগ।
প্রসেনজিৎ সর্দার: মধ্যরাতে পিজি হাসপাতালে বিস্ফোরক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এসকেএম -এ (SSKM) এসেও রোগী ভর্তি করতে পারলেন না মদন মিত্র। তারপরেই তৃণমূল নেতার অভিযোগ এখানে টাকার বিনিময়ে রুগী ভর্তি হয়। এখানে সক্রিয় দালালরাজ। রোগী ভর্তি করতে না পেরে সরব তৃণমূল বিধায়ক। তুললেন SAY NO TO PG স্লোগান। এদিন মদন মিত্র বলেন, SSKM আর জনগণের হাসপাতাল নয়। গরিব মানুষ আর চিকিত্সা পাচ্ছেন না। বাম আমলে অনায়াসেই রোগী ভর্তি হত। এমনকী প্রশ্ন তুললেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও।
আরও পড়ুন, Abhishek Banerjee: অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দলগঠন CBI-এর, আঁটো সাঁটো নিরাপত্তা নিজাম প্যালেসে
শুক্রবার রাতে বাইক দুর্ঘটনায় শুভদীপ পাল নামে এক যুবক জখম হন। তিনি এসএসকেএম হাসপাতালেরই ল্যাব টেকনিশিয়ান। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে যান খোদ মদন মিত্র। এসএসকেএম-এর ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে নাকি তাঁকে ভরতি নেওয়া হয়নি। প্রাথমিক চিকিৎসাও দেওয়া হয়নি। গত ১৮ মে রাতে বাইপাসে বাইক দুর্ঘটনায় আহত হন তিনি। প্রথমে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা হয় পরে বেসরকারি হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু সেখানকার চিকিৎসা ব্যায়বহুল। তাই পরিবারের লোক মদন মিত্রের দ্বারস্থ হন।
তারপরেই এসএসকেএমে ট্রান্সফার করার চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু সেখানে ৬ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও রোগীর ভর্তি তো দূরের কথা প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও হয়নি বলে অভিযোগ। এরপরেই বিস্ফোরক মদন মিত্র। তিনি বলেন, 'বাম আমলে অনায়াসে ভর্তি করতে পারতাম ১ মিনিটে। দালাল চক্র সক্রিয় ৫০ - ২০ হাজার টাকা দিলে চিকিৎসা হয়। সে নো টু পিজি। এটা আর জনগণের হাসপাতাল নয়। আমাদের এরকম অবস্থা তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা।'
মদন মিত্রের আরও অভিযোগ, 'জরুরী অবস্থায় চিকিৎসক স্টেথোস্কোপ নিয়ে বাইরে এসে প্রাথমিক চিকিৎসাটা করতে হয়। এখন সেটা হচ্ছে না। তারা এসি রুমে থেকে চা সিগারেট খাচ্ছে। সব ফুর্তি করছে। আর পরিবারে কাছে সেখানে রাইফেল নিয়ে পুলিস আসছে। এই হসপিটালে গরিব মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছে না। ভিখারির মতন পড়ে রয়েছে। এটা হসপিটাল না অডিটোরিয়াম।' তাঁর দাবি, স্বাস্থ্যসচিব, মন্ত্রীকে জানিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। শুধু তাই নয়, এসএসকেএম হাসপাতাল বয়কটের দাবিও জানান মদন।
তৃণমূল নেতার দাবি, রোগী যদি মরে যায় হসপিটাল ১০ কোটি টাকার ক্ষতিবরণ দিতে হবে। তার জন্য মদন মিত্র লড়বে। দীর্ঘদিন ধরেই হসপিটালে এরকম ঘটনা ঘটছে। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মিথ্যা কথা বলেছে। পেশেন্টের কোনও রকম চিকিৎসা হয়নি হাসপাতালে। অক্সিজেন বা ইনজেকশনও করেনি হসপিটালে তরফ থেকে। এই রোগীকে চিকিৎসার জন্য যা টাকা লাগে মদন মিত্র দেবে। হাতের ঘড়ি, সোনার হার বিক্রি করে। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই বার্তা পৌঁছক। মদন মিত্র রাত ১ টার সময় হাসপাতলে এসে এরকম করছে।
এসএসকেমে দাঁড়িয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরাসরি ক্ষোভ উগরে দিয়ে এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন মদন মিত্র।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: '২০০০ টাকার ধামাকা নয়, ১ বিলিয়ন ডলারের ধোকা'!