বাসের মধ্যে বাজছে তারস্বরে গান, তাড়া করে ধরল পুলিস
চলন্ত বাসে তারস্বরে বাজছে সাউন্ড বক্স। শোনা যাচ্ছে না বাইরের কোনও শব্দ। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাসের মধ্যে সিটিঁয়ে বসে আছেন যাত্রীরা। হাজারো উপরোধ-অনুরোধেও শব্দ কমাতে নারাজ বাস চালক। উদাসীনতার এই ছবি খাস কলকাতার। শেষপর্যন্ত যাত্রীরাই পুলিসে ফোন করে বাস থামান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চলন্ত বাসে তারস্বরে বাজছে সাউন্ড বক্স। শোনা যাচ্ছে না বাইরের কোনও শব্দ। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় বাসের মধ্যে সিটিঁয়ে বসে আছেন যাত্রীরা। হাজারো উপরোধ-অনুরোধেও শব্দ কমাতে নারাজ বাস চালক। উদাসীনতার এই ছবি খাস কলকাতার। শেষপর্যন্ত যাত্রীরাই পুলিসে ফোন করে বাস থামান।
মুর্শিদাবাদের ভয়ঙ্কর বাস দুর্ঘটনার ছবি এখনও স্মৃতিতে টাটকা। বাসে পা দিলেই তাড়া করে ফেরে সেই আতঙ্ক। ইতিমধ্যে শহরের বুকে চিংড়িঘাটাতেও বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছে দুই কলেজছাত্র। মুর্শিদাবাদের দুর্ঘটনার পরই বাস চালাতে চালাতে চালকের ফোনে ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে প্রশাসন। কিন্তু তারপরেও হুঁশ ফেরেনি বাস চালকদের।
ঘড়িতে তখন দুপুর দুটো। গার্ডেনরিচে ঢোকার মুখে রাজাবাজার থেকে গার্ডেনরিচ গামী যাত্রীবোঝাই ১২সি/১ রুটের বাসটিকে ধাওয়া করে থামায় পুলিস। অভিযোগ, ড্রাইভারের ঠিক পাশেই তারস্বরে বাজছিল সাউন্ড বক্স। গানের চোটে গানে তালা লেগে যাওয়ার উপক্রম হয় যাত্রীদের। সহ্য করতে না-পেরে প্রতিবাদ করেন কয়েকজন। চালককে অনুরোধ করেন গানের শব্দ কম করতে। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি চালক। উল্টে যাত্রীদের রীতিমতো শসাতে থাকেন তিনি।
আরও পড়ুন, পুলিসকর্মীদের 'মোচ্ছব', স্কুলের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মদের বোতল!
শেষপর্যন্ত, যাত্রীদের মধ্যেই একজন ফোন করেন সাউথ-ওয়েস্ট ট্রাফিক গার্ডের ওসিকে। ফোন পেয়ে আর সময় নষ্ট করেনি পুলিস। তারাতলা থেকে গার্ডেনরিচ ঢোকার মুখেই বাসটিকে ধাওয়া করে ধরে পুলিস। ধড়ে প্রাণ ফেরে যাত্রীদের। কিন্তু, এতকিছুর পরও নির্বিকার বাস চালক। গান যে জোরে চালানো হচ্ছিল তা মানতেই রাজি নন তিনি।