দুস্থ পরিবারের শিশুদের ইংরেজি শেখাতে সফটওয়্যার বানালেন স্কুলের হেড স্যার
বিশ্বজিত্ মিত্র। শিক্ষকতা করতেন একটি সম্পন্ন স্কুলে। হেডমাস্টারের দায়িত্ব নিয়ে রাসবিহারীর একটি স্কুলে কাজে যোগ দেন বছর খানেক আগে। প্রথম প্রথম মনে হত আলো থেকে অন্ধকারে এসে পড়েছেন। কিন্তু নিজেই শুরু করে দেন অন্ধকারে আলো জালানোর কাজ।
ওয়েব ডেস্ক: বিশ্বজিত্ মিত্র। শিক্ষকতা করতেন একটি সম্পন্ন স্কুলে। হেডমাস্টারের দায়িত্ব নিয়ে রাসবিহারীর একটি স্কুলে কাজে যোগ দেন বছর খানেক আগে। প্রথম প্রথম মনে হত আলো থেকে অন্ধকারে এসে পড়েছেন। কিন্তু নিজেই শুরু করে দেন অন্ধকারে আলো জালানোর কাজ।
কলকাতার রাসবিহারী অঞ্চলের স্কুল। নাম কৈলাস বিদ্যা মন্দির।
ক্লাসরুমে ঢুকতে গিয়ে কিছুটা অবাকই হয়েছিলেন আমাদের প্রতিনিধি। কারণ এধরনের স্কুলে পড়ুয়াদের মুখ থেকে ইংরেজিতে সম্বোধন কে কবে শুনেছে! কারণ, এটা যে অনাথ, অসহায় সম্বলহীন শিশুদের স্কুল।
ইংরেজি বলা তো দূরের কথা। এদের চোদ্দ পুরুষও বোধহয় স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পাননি। তবু এরা কিন্তু ইংরেজি বলতে পারে। যে মানুষটির নিরলস প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে, তিনি হলেন বিশ্বজিত্ মিত্র। কৈলাস বিদ্যা মন্দিরের প্রধান শিক্ষক।
বিশ্বজিত্ মিত্রের মুখে একটাই কথা, 'ইংরেজি শেখাতে চেয়েছিলাম'। দুস্থ পরিবারের শিশুদের ইংরেজি শেখাতে গিয়ে কী করেননি বিশ্বজিত্বাবু! তিনি আর তাঁর এক বন্ধু। দুজনে মিলে নিজেদের টাকা খরচ করে একটা এলসিডি আর সতেরোটা ট্যাব কিনেছেন। আর তা দিয়েই চলছে স্কুলে ইংরেজি শেখার ক্লাস।
এভাবে ইংরেজি শেখানোর জন্য বন্ধুকে দিয়ে নতুন সফটওয়্যার তৈরি করিয়েছেন হেডস্যার। অডিও ভিস্যুয়াল এফেক্টে গ্রামার শিখছে পড়ুয়ারা। সঙ্গে ইংরেজিতে কথা বলা। দুস্থ পরিবারের ছেলেদের ইংরেজি শেখাতে কোনও কার্পণ্য নেই হেডস্যারের। যে স্কুলের হেডস্যার এই রকম, সেই স্কুলের পড়ুয়াদের স্বপ্নটাও যে বড় হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।