কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্ঠায় শাসকের প্ররোচনা দেখছেন বিরোধীরা

তিনদিন আগে আদালত চত্বরে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর কুণাল ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাড়ানো উচিত্‍ ছিল। মন্তব্য CPIM নেতা নীলোত্‍পল বসুর। কুণাল ঘোষ সারদাকাণ্ডের শুধু অন্যতম অভিযুক্ত নন, সাক্ষীও বটে। তাই তাঁর সুস্থ থাকা খুব জরুরী। দাবি নীলোত্‍পল বসুর।

Updated By: Nov 14, 2014, 05:59 PM IST
কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্ঠায় শাসকের প্ররোচনা দেখছেন বিরোধীরা

কলকাতা: তিনদিন আগে আদালত চত্বরে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর কুণাল ঘোষের নিরাপত্তার দায়িত্ব বাড়ানো উচিত্‍ ছিল। মন্তব্য CPIM নেতা নীলোত্‍পল বসুর। কুণাল ঘোষ সারদাকাণ্ডের শুধু অন্যতম অভিযুক্ত নন, সাক্ষীও বটে। তাই তাঁর সুস্থ থাকা খুব জরুরী। দাবি নীলোত্‍পল বসুর।
 
এই  ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলল রাজ্য বিজেপি। দলের তরফে বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, কুণাল ঘোষের কিছু হলে, দায়ি থাকবে সরকার।

কুণাল ঘোষ যে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন, দিন তিনেক আগে আদালত চত্বরে তাঁর আত্মহত্যার হুমকি থেকেই সে ইঙ্গিত মিলেছিল। অথচ তারপরেও জেল কর্তৃপক্ষ তাঁর চিকিত্‍সার কোনও ব্যবস্থা করেনি। কেন এমনটা হল, তার জবাব চাওয়া হবে। দাবি কুণাল ঘোষের আইনজীবী  সৌমজিত্‍ রাহার।

দিন তিনেক আগে আদালতে আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পর কুণাল ঘোষকে নিজেদের হেফাজতে নিতে পারত CBI। মন্তব্য CPIM সাংসদ মহম্মদ সেলিমের।

জেলে কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় কেবল প্রেসিডেন্সি জেলের  সুপার ও চিকিত্‍সক সহ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করেই দায় এড়াতে পারবে না সরকার। কিভাবে সেলের মধ্যে ঘুমের অসুধ গেল, তা খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। মন্তব্য BJP রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার।

কুণাল ঘোষের কিছু হলে তার দায় সরকারের। দাবি বিরোধী দলনেতা সুর্যকান্ত মিশ্রের। কুণাল ঘোষের আত্মহত্যার চেষ্টার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তৃণমূলের বড়বড় নেতাদের জড়িত থাকার কথা আগেই ফাঁস করেছিলেন কুণাল। তাই তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল বামেরা। অথচ পুলিস কিম্বা জেল কর্তৃপক্ষ সতর্ক হয়নি। কিভাবে জেলের মধ্যে ঘুমের অসুধ গেল, তার জবাব দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। বললেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর দাবি, তদন্ত হলে ধড়া পড়বে আরও রাঘব বোয়াল।

কুণাল ঘোষকে পরোক্ষে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আত্মহত্যার হুমকি দেওয়ার পরও কেন আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, রাজ্যে জেলগুলির অবস্থা কতটা শোচনীয়, এই ঘটনা তা প্রমাণ করে দিল। যেখানে কুখ্যাত অপরাধীরা সহজেই জেলে বসে মোবাইল ফোন হাতে পেয়ে যান, সেখানে ঘুমের ওষুধ পাওয়া আশ্চর্যের কী? এই কটাক্ষও শোনা গেছে কংগ্রেস সভাপতির গলায়।    

 

.