দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর ১২৫তম জন্মদিনে নেহেরু বন্দনায় গলা মেলাল ডান-বাম সব পক্ষই
শতবর্ষে তাঁর জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হয়েছিল শুধু মাল্যদান। জন্মের ১২৫ বছরে কিন্তু হইহই-কাণ্ড জওহরলাল নেহরুকে নিয়ে। দেশ তো বটেই, রাজ্য রাজনীতির বাস্তবতাও এখন অন্যরকম। তাই তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, বিজেপি- সবাই এখন মুখর নেহরু বন্দনায়।
ব্যুরো: শতবর্ষে তাঁর জন্য পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় হয়েছিল শুধু মাল্যদান। জন্মের ১২৫ বছরে কিন্তু হইহই-কাণ্ড জওহরলাল নেহরুকে নিয়ে। দেশ তো বটেই, রাজ্য রাজনীতির বাস্তবতাও এখন অন্যরকম। তাই তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, বিজেপি- সবাই এখন মুখর নেহরু বন্দনায়।
প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর একশো পঁচিশতম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে শুক্রবার বিরল দৃশ্য দেখল রাজ্য বিধানসভা।
নরেন্দ্র মোদী এখন চেষ্টা করছেন নেহরুর ঐতিহ্য এবং স্মৃতিকে বিজেপি-র সঙ্গে যুক্ত করতে। নেহরুর ওপর একচেটিয়া অধিকার রক্ষায় মরিয়া হয়ে আসরে নেমেছেন সোনিয়া গান্ধীও। তাঁর আমন্ত্রণে অতীতের সমস্ত নজির ভেঙে দিল্লিতে একই মঞ্চে সমবেত হচ্ছেন তৃণমূল ও সিপিআইএম নেতারা।
সেই কাহিনীরই কিঞ্চিত্ ট্রেলার দেখা গেল এদিন রাজ্য বিধানসভায়। মনে করা কঠিন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও সূর্যকান্ত মিশ্রের এত হৃদ্যতা কবে দেখা গেছে!
রাজ্যে বিজেপির উত্থান চিন্তার কারণ অন্য সব রাজনৈতিক দলেরই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর মানস ভুঁইঞাকে এদিন দেখে বোঝার উপায় ছিল না যে দু-জনার দুটি পথ আলাদা হয়ে গেছে দু বছর আগেই।
নেহরু সম্পর্কে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করলেন ডমিনিক ল্যাপিয়ার আর ল্যারি কলিন্সের লেখা ফ্রিডম অ্যাট মিডনাইট বইটির।
নেহরু-পাঠে তিনিও যে পিছিয়ে নেই তা বোঝাতে উদগ্রীব বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
নেহরু বেঁচে থাকলে কি আজ নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দিতেন?