যুব কংগ্রেস নেত্রী মমতার সঙ্গী কৃষ্ণা চক্রবর্তীই হচ্ছেন বিধাননগরের মেয়র
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগর পুরনিগমের অধিকাংশ কাউন্সিলরের পছন্দ কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখন যুব কংগ্রেস নেত্রী, সেই থেকে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। বিধাননগর পুরসভার মেয়র বাছার ক্ষেত্রে দাম পেল দীর্ঘদিনের আনুগত্য। কৃষ্ণা চক্রবর্তীই হতে চলেছেন বিধাননগর পুরসভার মেয়র। তাঁর নামেই শিলমোহর দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাপস চট্টোপাধ্যায় থাকলে ডেপুটি মেয়র। চেয়ারম্যান হতে চলেছেন অনিতা মণ্ডল।
সব্যসাচী দত্তের ইস্তফার পর থেকে বিধাননগরের মেয়র পদে কে বসবেন, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। ভেসে আসছিল ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর নাম। এর মধ্যে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের সম্ভাবনা ছিল বেশ জোরালো। আর সুজিত বিধাননগরের বাসিন্দাই নন। আর কৃষ্ণা চক্রবর্তী ছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান। পরে সল্টলেক ও রাজারহাট পুরসভা মিলিয়ে বিধাননগর পুরনিগম করা হয়। পুরনিগমের চেয়ারম্যান হন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। মেয়র পদেও এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিনের সঙ্গী।
তৃণমূল সূত্রে খবর, বিধাননগর পুরনিগমের অধিকাংশ কাউন্সিলরের পছন্দ কৃষ্ণা চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, বিধাননগর পুরসভায় নতুন করে সব্যসাচী দত্ত ও মুকুল রায়ের দল ভাঙার খেলা খেলতে পারেন বলে মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ফলে মেয়র পদে বিশ্বস্ত কাউকে ছাড়া চলবে না। সেই আটের দশক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন কৃষ্ণা চক্রবর্তী। অতিসম্প্রতি হুগলি জেলার পর্যালোচনা সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরনো কর্মীদের খোঁজ নেন। কিন্তু তাঁরা কেউ ছিলেন না। তখনই দলনেত্রী তাঁদের ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। সেই ধারা মেনে এবং সব দিক বিবেচনা করে কৃষ্ণাকেই মেয়রের আসনে বসানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল।
আরও পড়ুন- বিজেপির কৌশলে ভেঙে খান খান বিরোধী ঐক্য, রাজ্যসভাতেও পাশ তিন তালাক বিল