আইনজীবীদের ছুটির আবদার বিরক্তিকর ও বেদনাদায়ক, বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

গরমের দোহাই দিয়ে আইনজীবীদের ছুটির আবদার অত্যন্ত বিরক্তিকর ও বেদনাদায়ক। ছুটি চেয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেলের আর্জি খারিজ করে এ কথা বললেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে তিনি আদালত চালু রাখার নির্দেশ দিলেও আইনজীবীরা না আসায় বুধবার কাজ হল না কলকাতা হাইকোর্টে।

Updated By: Jun 10, 2015, 04:25 PM IST
আইনজীবীদের ছুটির আবদার বিরক্তিকর ও বেদনাদায়ক, বললেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি

ওয়েব ডেস্ক: গরমের দোহাই দিয়ে আইনজীবীদের ছুটির আবদার অত্যন্ত বিরক্তিকর ও বেদনাদায়ক। ছুটি চেয়ে অ্যাডভোকেট জেনারেলের আর্জি খারিজ করে এ কথা বললেন, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে তিনি আদালত চালু রাখার নির্দেশ দিলেও আইনজীবীরা না আসায় বুধবার কাজ হল না কলকাতা হাইকোর্টে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই কলকাতা হাইকোর্টে কর্মসংস্কৃতি ফেরানোর চেষ্টা করছেন প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। যখন তখন আইনজীবীদের কর্মবিরতি নিয়ে আগেও তিনি সরব হয়েছেন। বাড়তি গরমের ছুটির আবদারে বারের সঙ্গে তাঁর সংঘাত এ বার চরমে পৌছল। পনেরো দিন গরমের ছুটির পর পয়লা জুন হাইকোর্ট খুলেছিল। দিনকয়েক কাজ চলার পর মঙ্গলবার বার অ্যাসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নেয়, গরমের জন্য শুক্রবার পর্যন্ত কাজ করবেন না আইনজীবীরা। প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি এ কথা শুনেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বুধবার, ছুটির আবেদন নিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে যান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্র।

তিনি বলেন,গরমে ছুটির সিদ্ধান্ত তিনি সমর্থন করেন না। কিন্তু, কেউ কাজ না করলে তিনি নিরুপায়। কার্যত অক্ষম। টেকনিক্যালি এটা সম্ভব নয়। আইনজীবীদের জন্য তিনদিনের ছুটি চান তিনি।

শোনামাত্রই অ্যাডভোকেট জেনারেলের আর্জি খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি। জানিয়ে দেন আদালত চলবে। তিনি বলেন, গরমে আইনজীবীদের কাজ না করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিরক্তিকর ও বেদনাদায়ক। বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তি উচিত নয়। আইনজীবীদের এই কর্মবিরতি আদৌ কতটা যুক্তিযুক্ত? এই ভোগান্তির দায় কে নেবে?

প্রধান বিচারপতি হাইকোর্ট চালু রাখার নির্দেশ দিলেও আসেননি অধিকাংশ আইনজীবী। অনুপস্থিত ছিলেন সরকারি আইনজীবীরাও। ফলে, বেলা একটু গড়াতেই বিচারপতিরা এজলাস ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।

সব হাইকোর্টে বছরে কমপক্ষে ২১০ দিন কাজ চালু রাখতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টে এমনিতেই এর চেয়ে অনেক কম দিন কাজ হয়। নানা বাহানায় আইনজীবীদের বারবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্তে হাইকোর্টের কর্মসংস্কৃতি নষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করছেন আইনজ্ঞরা। আর যার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। 

.