খুশির ইদেও ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে কিশওয়ার জাহান, জরিনা বিবি
আজ খুশির ইদ। দেশজুড়ে উত্সবে সামিল মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। চলছে আত্মীয়-পরিজনের মধ্যে কুশল বিনিময়। বাড়িতে বাড়িতে ভোজের আয়োজন। কিন্তু উত্সবের দিনেও বিষাদের ছায়া রিজওয়ানুর রহমানের মা কিশওয়ার জাহান, বীরভূমের জারিনা বিবির জীবনে। সন্তান হারিয়ে ইনসাফের আশায় বুক বেঁধে দিন কাটছে দুই মায়ের।
দুহাজার সাতে ছেলের রহস্যমৃত্যুর পর থেকে ইদের দিনটা আর উত্সবের বার্তা বয়ে আনে না রিজওয়ানুর রহমানের মা কিশওয়ার জাহানের কাছে। সাত বছর কেটে গেলেও মেলেনি ইনসাফ। উল্টে অভিযুক্ত পুলিস অফিসারদের একজনের পদোন্নতি হয়েছে। শান্তি ফেরেনি কিশওয়ার জাহানের জীবনে। ইদ কিংবা অন্য কোনও উত্সবের দিনে তাই ছেলের স্মৃতি বিষাদগ্রস্ত করে তোলে মাকে। ইদের সকালে রিজের বাড়ি গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু অনেক লোকের ভিড়ে তাঁর কাছে ছেলের প্রসঙ্গ তুলতেই পারলেন না কিশওয়ার জাহান।
নির্মমভাবে খুন করা হয়েছে তিন ছেলেকে। এখনও দিন কাটে আত্মগোপন করে। মুখ খুললেই চলছে হুমকি। বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা জারিনা বিবির কাছেও উত্সবের দিনটা বিষাদের ছায়ায় ঢাকা। দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে ছাড়তে হয়েছে ভিটেমাটি। লাভপুরেই একটি চালাঘরে কোনও ক্রমে দিন কাটে জারিনা বিবির। সেখানেই ইদের নমাজ পড়লেন তিনি।
পাশ করেও মেলেনি চাকরি। অবিচারের প্রতিকার চেয়ে কলেজ স্ট্রিটে এক মাসেরও বেশি অনশনে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীরা। দীর্ঘ উপবাসের শেষে খুশির ইদ আসেনি তাঁদের অনেকের জীবনে। কারণ প্রতিদনই তো কাটছে অনশনে। উত্সবের দিনেও ওরা ইনসাফের অপেক্ষায়। ।