ভক্তবালা কলেজের স্বীকৃতি ফেরাচ্ছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়?

Updated By: Sep 15, 2014, 11:06 PM IST
ভক্তবালা কলেজের স্বীকৃতি ফেরাচ্ছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়?

শেষপর্যন্ত কি ভক্তবালা বি এড কলেজের স্বীকৃতি ফেরাচ্ছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়? আজ হাইকোর্টে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, ভক্তবালা বি এড কলেজের স্বীকৃতি ফেরানো যায় কিনা সেবিষয়ে বিবেচনা করা হবে। এই মর্মে আশ্বাস পাওয়ার পর হাইকোর্টে মামলা প্রত্যাহার করে বি এড কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, স্বীকৃতি ফেরার আশ্বাস মিললেও বিএড কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হল না? নির্দিষ্ট আসনের বেশি ছাত্রছাত্রী ভর্তি করেছে ভক্তবালা বি এড কলেজ কর্তৃপক্ষ। এই তথ্য সামনে আসার পরেই ওই কলেজের অনুমোদন বাতিল করে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর পরেই সামনে আসে আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। অভিযোগ ওঠে, মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে ওই  কলেজে ভর্তি করা হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের।

ভক্তবালা বিএড কেলেঙ্কারির ঘটনায় মূল অভিযোগের আঙুল ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা তন্ময় আচার্য, ভক্তবালা বি এড কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক ও কর্মচারীর বিরুদ্ধে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? টিএমসিপির তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হলেও শুধুমাত্র শোকজ করেই দায় সেরেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর যাতায়াত যেমন  বন্ধ হয়নি তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি স্টুডেন্টসশিপ নিয়েও।

কেলেঙ্কারি সামনে আসার সঙ্গে সঙ্গে কলেজের অনুমোদন বাতিল করে দেয় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এবছর ভক্তবালায় কোনও ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়নি। কিন্তু ভক্তবালা কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, টিএমসিপি নেতা তন্ময় আচার্যের আশ্বাসেই অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করা হয়েছিল। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের এজলাসে শুনানির সময় কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয়, ভক্তবালা বি এড কলেজের অনুমোদন ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিবেচনা করছে বিশ্ববিদ্যালয়।

অভিযুক্ত অধ্যাপক, কর্মচারীদের শোকজ করা হয়েছে। জমা পড়েছে শোকজের উত্তরও। তবে এর বেশি আর এগোয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তবে একজনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস। রাজ্য সরকারের রিপোর্টে দোষী সাব্যস্ত করা হয় তাঁকে। যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন টিএমসিপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। ইতিমধ্যেই ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বিমলেন্দু বিশ্বাসকে। শো কজও করা হয়েছে। কিন্তু মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কেন এখনও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিল না কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়? তবে কী টিএমসিপির যোগ থাকাই এর মূল কারণ ? প্রশ্ন শিক্ষা মহলের একাংশের।

 

.