'ক্ষমতায় এসে চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িত সবাইকে জেলে পুরব', হুঙ্কার কৈলাসের
"মুকুল রায় বাংলার রাজনীতির চাণক্য। মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন তিনিই।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : "আমরা ক্ষমতায় এলে বিদ্যুতের দাম কমাব। আমরা ক্ষমতা আসার পর কোনও ৭০ শতাংশ- ৩০ শতাংশের সাম্প্রদায়ির বিভাজন হবে না। দুর্গাপুজো ও মহরম সমান গুরুত্ব পাবে। একইসঙ্গে আমরা ক্ষমতায় আসার পর চিটফান্ড দুর্নীতিতে জড়িত সবাইকে জেলে পুরব।" আজ 'গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ঠিক এভাবেই একদিকে প্রতিশ্রুতি দিলেন, আরেকদিকে হুঁশিয়ারিও দিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এদিন 'গণতন্ত্র বাঁচাও' কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, "মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়তেই তাঁর বিরুদ্ধে ৫০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে মমতা ব্যানার্জি ভুলে যাচ্ছেন, যিনি বানাতে পারেন, তিনি নামাতেও পারেন। মুকুল রায় বাংলার রাজনীতির চাণক্য। মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী বানিয়েছিলেন তিনিই।" তাঁর আরও অভিযোগ, শুধু মুকুল রায় নয়, তাঁর বিরুদ্ধেও মিথ্যে মামলা দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুতের মাশুল নিয়েও এদিন তোপ দাগেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বলেন, "কলকাতায় CESC সব থেকে ব্যয়সাপেক্ষ। কারণ CESC থেকেও কাটমানি নেওয়া হয়। আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, ৭ মাস বাদে ভোট। বিজেপি ক্ষমতা এলে বিদ্যুতের দাম কম করব। CESC-র কাছ থেকে জানতে চাইব, কাকে কত কাটমানি দিয়েছে।" বিজয়বর্গীয় এদিন আরও অভিযোগ করেন, গোটা রাজ্যে দুর্নীতি ছেয়ে গিয়েছে। আমফানের ত্রাণ, ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে।
পাশাপাশি, কৈলাস বিজয়বর্গীয় এদিন রাজ্যে করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্যও মমতা ব্যানার্জিকেই দায়ি করেন। ঠিক সময়ে ঠিক মতো লকডাউন না করার জন্যই এভাবে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন, 'BJP বদলও আনবে, বদলাও নেবে... চায়না ট্রলিতে অনুব্রতকে বেঁধে পিছনে রোলার চালানো হবে'