মহাকরণের গুরুত্বপূর্ণ নথি পোড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই বেসরকারি সংস্থার কর্মী জ্যোর্তিময় নন্দীর

মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন চক্রান্তকারী। অভিযোগ ছিল মহাকরণে আগুন লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পোড়ানোর চেষ্টা। ৩ বছর পর অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী জ্যোর্তিময় নন্দী। গতকাল তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত।

Updated By: Aug 3, 2016, 10:00 AM IST
মহাকরণের গুরুত্বপূর্ণ নথি পোড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ থেকে রেহাই বেসরকারি সংস্থার কর্মী জ্যোর্তিময় নন্দীর

ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী বলছিলেন চক্রান্তকারী। অভিযোগ ছিল মহাকরণে আগুন লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নথি পোড়ানোর চেষ্টা। ৩ বছর পর অভিযোগ থেকে রেহাই পেলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী জ্যোর্তিময় নন্দী। গতকাল তথ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেয় আদালত।

তারিখটা ছিল ২০১৩ সালের ২৯ নভেম্বর। ওই দিন মহাকরণের নথি সংরক্ষণে কীটনাশক ছড়ানোর কাজে গিয়েছিলেন জ্যোতির্ময়। নথিপত্রের কাছে কেরোসিন ছড়িয়ে থাকতে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে নথি পোড়ানোর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। পরদিন তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিস। জ্যোতির্ময় নন্দী বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেন, অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছুটা কেরোসিন ফাইলের ওপর পড়ে গিয়েছিল সেদিন। কিন্তু তাঁর যুক্তি মানেনি প্রশাসন।

সেদিন মুখ্যমন্ত্রীও তাঁকে চক্রান্তকারীর তকমা দিয়েছিলেন। নভেম্বরে গ্রেফতার হয়ে ডিসেম্বরে ছাড়া পান জ্যোর্তিময়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা চলছিল। উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে সেই মামলায় সোমবার তাঁকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। ব্যাঙ্কশাল কোর্টের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট সঞ্জয় রঞ্জন পাল জানিয়েছেন, পুলিশ অভিযোগ করলেও জ্যোতির্ময়ের বিরুদ্ধে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। তাই বেকসুর খালাস করা হল জ্যোতির্ময়কে।

যে কাজ করতে গিয়ে এত বড় বিপত্তি তাকে এখনও ছাড়তে নারাজ জ্যোতির্ময়। এখনও সংসার চালান কীটনাশক ছড়িয়েই। অবশ্য মহাকরণে আর যান না তিনি।

.