ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও স্পষ্ট নয় যাদবপুরের কিশোরীর মৃত্যুর কারণ, ধোঁয়াশায় পুলিস
পুলিস সূত্রে খবর, রিপোর্ট বলছে অনুযায়ী পার্শিয়ালি হ্যাঙ্গিং অর্থাৎ আংশিকভাবে ঝুলন্ত হওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু। তবে সেটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা এখনও স্পষ্ট নয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আংশিকভাবে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃত্য়ু হয়েছিল পূর্ব যাদবপুরের ১২ বছরের কিশোরী। অন্তত এমনটাই বলছে তার ময়না তদন্তের রিপোর্ট। গতকালই পূর্ব যাদপুরের কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। এরপরই দানা বাঁধে একের পর এক রহস্য। আত্মহত্যা নাকি অন্যকোনও কারণে মৃত্যু তার তদন্ত শুরু করে পুলিস। আজ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে।
আরও পড়ুন: আত্মঘাতী? যাদবপুরে গলায় গামছা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার ১২ বছরের কিশোরীর দেহ
পুলিস সূত্রে খবর, রিপোর্ট বলছে অনুযায়ী পার্শিয়ালি হ্যাঙ্গিং অর্থাৎ আংশিকভাবে ঝুলন্ত হওয়ার কারণেই তাঁর মৃত্যু। তবে সেটি আত্মহত্যা নাকি অন্য কিছু তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিস বলছে, কিশোরীর গলায় মাঝ বরাবর দাগ মিলিছে। সিলিং-এ ঝুললে সে ক্ষেত্রে লিগেচার মার্ক গলার উপরিভাগে থাকার কথা, এ ক্ষেত্রে তা মাঝ বরাবর। পাশাপাশি শরীরে কোনও বাহ্যিক ক্ষতও মেলেনি। কিশোরীর হাতের সোনার আংটি, কানের দুলও চুরি হয়নি। কাজেই চুরি বা লুঠের জন্য কিশোরীর খুন হয়নি একথা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন: পড়াতে এসে ছাত্রের সঙ্গে যৌনকর্ম! মোবাইল অন রেখে ভিডিয়ো করে ধরিয়ে দিল নাবালক
তাহলে কী কারণে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। খেলতে খেলতে গলায় ফাঁস পড়ে মৃত্য়ুর কারণও নেহাত উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিস। বছর ১২-র কিশোরী আদৌ আত্মহত্যা করেছে কিনা তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মৃত্যুর দিন সকালেও স্বাভাবিক ছিল কিশোরী। সবমিলিয়ে ধোঁয়াশা এখনও রয়েই যাচ্ছে। কিশোরীর মৃত্যু জট কাটাতে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিস।