মহাজোটের মুখ মমতাই, বার্তা দেবে শনিবারের ঐতিহাসিক ব্রিগেড

রাজ্যের তাবড় রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা থাকছেন মমতার ব্রিগেডে।  

Updated By: Jan 18, 2019, 11:46 PM IST
মহাজোটের মুখ মমতাই, বার্তা দেবে শনিবারের ঐতিহাসিক ব্রিগেড

কমলিকা সেনগুপ্ত

লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের প্রথম বড় সভা। ইতিহাসের অপেক্ষায় ব্রিগেড। শনিবার  আরও একবার প্রমাণ হতে চলেছে মোদী-বিরোধী মহাজোটের মুখ মমতাই। 

দিল্লি না গিয়েও মহাকরণে বসেই, সারা দেশে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনীতির মুখ ছিলেন জ্যোতি বসু। সেদিন, বাংলা ছাড়াও কেরল-ত্রিপুরায় বামেদের সরকার ছিল। তৃণমূলের শক্তি বাংলার বাইরে সেভাবে না ছড়ালেও আজ সারা দেশে বিজেপি-বিরোধী রাজনীতির মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফের একবার  প্রমাণ দেবে শনিবারের ব্রিগেড।

রাজনৈতিক মহল বলছে, সঙ্গত কারণেই দেশের তাবড় বিরোধী নেতারা আজ মমতাকে সামনে রেখেই উনিশের ভোটযুদ্ধে মাঠে নামতে চাইছেন। নোট বাতিল, জিএসটি, এনআরসি-র মতো ইস্যুতে সবার প্রথম মমতাই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন। 

মমতার একের বিরুদ্ধে এক ফর্মুলার সারমর্ম বুঝেই আজ অখিলেশ-মায়াবতীরা হাতে হাত মেলাচ্ছেন। বামেরা না এলেও ছুত্‍মার্গ ভুলে ব্রিগেডে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে, মমতা প্রমাণ করেছেন বিজেপি-বিরোধী লড়াইয়ে তিনি কতটা আন্তরিক। লোকসভা নির্বাচনে আসন জয়ের অঙ্কেও তৃণমূলের তৃতীয় বৃহত্তম দল হওয়ার সম্ভাবনা।  

আসন সমঝোতা করে অখিলেশ-মায়াবতীরা ৩৮ আসনে আটকে। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র বা বিহারের মতো বড় রাজ্যগুলিতে বিরোধীদের মধ্যে আসন ভাগাভাগি হবে। ফলে, বাংলায় ভাল ফল করলে লোকসভায় তৃতীয় বৃহত্তম দল হতে পারে তৃণমূল। আর সেক্ষেত্রে, সংখ্যা বিচারেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে সরকার গড়ার চাবিকাঠি থাকতে পারে তা ভালই জানেন বিরোধী নেতারা। ব্রিগেডে অংশ নেওয়ার আগে বিক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ, শত্রুঘ্ন সিনহা তো বলছেনই,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর আঞ্চলিক নেত্রী নন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নেত্রী। ভোটের পর আসন সংখ্যার বিচারে সাধারণ মানুষ ও নেতারা প্রধানমন্ত্রী ঠিক করবেন। তবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্যই সর্বোচ্চ ব্যক্তিত্বের অধিকারী এক নেত্রী।

আরও পড়ুন- তিন রাজ্য জয়ের পরও কল্কে পাচ্ছে না কংগ্রেস! সংখ্যার বিচারে ভারী মমতা-অখিলেশরা

গত ২ বছরে দেশজুড়ে সব বিরোধী দলের মধ্যে জোটের অনুঘটক হিসাবে কাজ করেছেন মমতা। শনিবার, তাঁর মঞ্চেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও মল্লিকার্জুন খাড়গেকে পাশাপাশি দেখা যাবে। পটনায় আরজেডির সভাই হোক বা বেঙ্গালুরুতে কুমারস্বামীর শপথ, বারবার ছুটে গিয়ে জোটের সলতে পাকানোর কাজটা নিয়মিত করে গিয়েছেন তিনি। আর সবার ওপরে মমতার ভাবমূর্তি। সবার কাছে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা। আর ৫ জনের মতো সংকীর্ণ দলীয় স্বার্থে তিনি এদিক ওদিক করবেন না বলে বিশ্বাস। রাজনৈতিক মহল বলছে, এসব নিয়েই লোকসভা নির্বাচনের আগে দিদিই সারা দেশে বিরোধী জোটের মুখ।

.