পরপর কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়ায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
পরপর কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া নাকি প্রথম 'অপরাধ'! তারওপর পণের দাবি না মেটাতে পারা! আর সেই কারণেই গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। খাস রাজারহাটের বুকেই ঘটেছে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্তরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পরপর কন্যাসন্তানের জন্ম দেওয়া নাকি প্রথম 'অপরাধ'! তারওপর পণের দাবি না মেটাতে পারা! আর সেই কারণেই গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে। খাস রাজারহাটের বুকেই ঘটেছে এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা। ঘটনার পর থেকে ফেরার অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন- বড়বাজারে রাম রহিমের শিষ্যের ডেরার মধুচক্রে নিয়োগ হত ইন্টারভিউ নিয়ে!
মৃতা ফতেমা বিবির সঙ্গে ১৫ বছর আগে বিয়ে হয় মহম্মদ আসগর আলির। পানাপুকুর এলাকার বাসিন্দা এই দম্পতির দুই মেয়ে রয়েছে। আরও দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন ফতেমা, তবে মৃত্যু হয় তাদের।
অভিযোগ, একের পর এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় অত্যাচার চলত ফতেমার ওপর। সেই সঙ্গে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য নিয়মিত চাপ দেওয়া হত তাঁকে। টাকা না আনলে চলত বেধড়ক মারধর। গত মঙ্গলবারও, ৫০হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য ফতেমাকে জবরদস্তি বাপের বাড়িতে পাঠায় আসগর। কিন্তু টাকা আনতে পারেননি ফতেমা। এজন্য তাঁকে নৃশংসভাবে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। শুক্রবার তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, ফতেমা গুরুতর অসুস্থ। তাঁকে দেখতে রাজারহাটের বাড়িতে যান তাঁরা। কিন্তু সেখানে পৌঁছে দেখেন, ঘরের মধ্যে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় পড়ে ফতেমা, তাঁর হাত-পা বাঁধা। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে রাজারহাট থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। পুলিস ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।