আগুনের গ্রাসে ছাই হয়ে গেল হাতিবাগান বাজার
ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল উত্তর কলকাতার হাতিবাগান বাজারের বহু দোকান। দমকলের ৩২টি ইঞ্জিনের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল উত্তর কলকাতার প্রাচীন হাতিবাগান বাজার। দমকলের ৩২টি ইঞ্জিনের কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের বিরুদ্ধে দেরিতে আসার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দমকলের তরফে শ্যামপুকুর থানায় হাতিবাগান বাজারের মালিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টে নাগাদ আগুন লাগে হাতিবাগান বাজারের একাংশে। মুহূর্তের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। একের পর এক দোকান চলে যেতে থাকে আগুনের গ্রাসে।
একটি জুতোর দোকানের শোরুম ও তার লাগোয়া একটি চামড়ার গুদামেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বাড়িগুলিতেও আগুন লাগার আশঙ্কা দেখা দেয়। দমকলের গাফিলতিতেই আগুন ভয়াবহ আকার নেয় বলে অভিযোগ তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘিঞ্জি এলাকায় বিরাট জায়গা জুড়ে আগুন লাগায় প্রাথমিকভাবে কার্যত হিমশিম খেতে হয় দমকলকে। বাড়ানো হয় দমকলের ইঞ্জিন সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে যান নগরপাল আর কে পচনন্দা, ডিসি নর্থ বিশাল গর্গ, দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান, পুর ও নরগোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, বিধায়ক সাধন পাণ্ডে ও মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিগ্রস্ত বাজার ঘুরে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র।
আগুন লাগার কারণ খুঁজতে গিয়ে বারেবারেই উঠে আসে সংস্কারের অভাবের কথা। মালিকানা নিয়ে সমস্যার জেরেই সংস্কার করা যায়নি বলে দাবি করেন পুরসভার মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। চোখের সামনে সর্বস্ব আগুনের কবলে পড়তে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন অনেকে। আগুন সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসতেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে বাজারের ভিতরে ঢুকে যান কেউ কেউ। যদি আগুনের কবল থেকে কিছু বাঁচানো যায়, সেই আশায়। অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। তদন্তে নেমে সব দিক খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়ে দেন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পুরসভা কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। প্রয়োজনে বাড়ির বিপজ্জনক অংশ ভেঙে ফেলার কথাও ভাবছে পুরসভা। যদিও, এতজন মানুষের কর্মসংস্থান বা পুনর্বাসন প্রসঙ্গে কোনও সদুত্তর মেলেনি পুরসভার কাছ থেকে।