মুখ্যসচিব-ডিজি দেখা না করায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল, এবার রাজভবনে তলব মুখ্যমন্ত্রীকে
এই ঘটনা অত্যন্ত 'আশ্চর্যজনক' ও একে 'কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না' বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) রাজভবনে তলব করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। সোমবার সন্ধ্যায় টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে ডেকে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। টুইটে জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, "সাম্প্রতিক পরিস্থিতির গুরুত্ব বিচারে, আগামিকাল তাঁর সুবিধামতো সময়ে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবনে আমার সঙ্গে দেখা করতে বলেছি।" একইসঙ্গে আজ মুখ্যসচিব ও ডিজিপি তাঁর সঙ্গে দেখা না করায় চরম অসন্তোষও প্রকাশ করেন রাজ্যপাল।
.@MamataOfficial. In view of enormity of situation I have called upon Chief Minister Mamata Banerjee to personally update me at Raj Bhawan tomorrow at a time of her choice. There is no response from Chief Secretary and DGP thus far. This is unfortunate and unexpected of them.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2019
প্রসঙ্গত, এদিন মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (Citizenship Amendment Act 2019) বিরোধিতায় বিক্ষোভের মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের ভূমিকায় রবিবার ক্ষোভপ্রকাশ করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট নিতে এরপরই সোমবার সকাল ১০টায় রাজভবনে মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিসের ডিজি-কে ডেকে পাঠান ধনকড়। কিন্তু, এদিন রাজভবনে যাননি মুখ্যসচিব ও ডিজিপি। যাতে চরম ক্ষুব্ধ হন রাজ্যপাল ধনকড়। এই ঘটনা অত্যন্ত 'আশ্চর্যজনক' ও একে 'কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না' বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
.@MamataOfficial. Am stunned that in spite of request made neither Chief Secretary nor Director General of Police have come to brief and update me on the current painful situation in the State. This is surely not acceptable given the enormity of situation.
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 16, 2019
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালের ডেকে পাঠানো প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সৌগত রায়। তৃণমূল সাংসদ বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর এখন কোথাও গিয়ে সময় নষ্ট করার সময় নেই। এখন যা পরিস্থিতি তাতে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্য সামলাতে হচ্ছে। যাতে রাজ্যে আগুন না জ্বলে তা দেখতে হচ্ছে। এখন কোথাও গিয়ে সময় নষ্ট করার মতো সময় তাঁর হাতে নেই।"
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব চলছে। অরাজকতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায়। অবরোধ, অগ্নিসংযোগের জেরে জায়গায় জায়গায় বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্টও। বুধবারের মধ্যে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।