চল্লিশ ঘণ্টা পরও ঘেরাও উঠল না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে

চল্লিশ ঘণ্টা পরও ঘেরাওমুক্ত হলেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। র‌্যাগিং এ অভিযুক্ত দুই ছাত্রের শাস্তি মকুবের দাবিতে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ফেটসু ও আফসু। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অনড় তাদের অবস্থানে। শাস্তি পুর্বিবেচনার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

Updated By: Sep 20, 2013, 10:20 AM IST

চল্লিশ ঘণ্টা  পরও ঘেরাওমুক্ত হলেন না যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার। র‌্যাগিং এ অভিযুক্ত দুই ছাত্রের শাস্তি মকুবের দাবিতে আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ফেটসু ও আফসু। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে  তারা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অনড় তাদের অবস্থানে। শাস্তি পুর্বিবেচনার কোনও প্রশ্নই নেই বলে জানিয়ে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
 
নিজেদের অবস্থানে অনড় ছাত্র-শিক্ষক দুপক্ষই। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিং-এর অভিযোগে সেমেস্টার থেকে বহিষ্কৃত দুই ছাত্রের শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠন ফেটসু। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বুধবার বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সহ উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। ক্লাস বয়কটেরও ডাক দেওয়া হয় ছাত্র সংগঠনের তরফে। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, র‌্যাগিং-এর ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে আন্দোলনকারীদের তরফে শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
 
আন্দোলন চললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য  স্পষ্টই জানিয়ে দেন শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি মানা সম্ভব নয়। উপাচার্য ঘেরাওয়ের  সমালোচনা সরব হয়েছেন শিক্ষাবিদরাও। ছাত্র সংগঠন ফেটসুর অভিযোগ, অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটি ছাত্রদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই একতরফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, শাস্তি পূর্ণবিবেচনা না হলে আন্দোলন কর্মসূচি চলবে। এদিকে ঘেরাও চলাকালীন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র অভীক দাস অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 

.