পাখির চোখ একুশের বিধানসভা, কর্মসংস্থান, উন্নয়নকে সামনে রেখেই বাজেট তৈরি করছে রাজ্য সরকার
শুক্রবার বাজেট প্রস্তাব জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিভিন্ন দফতর থেকে বাজেট প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরই বোঝা যাবে কর্মস্থানের পরিসর কতটা রয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরির রূপরেখা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অর্থ দফতরকে
নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশে বিধানসভা ভোট। সে দিকে তাকিয়ে এবার কর্মসংস্থান এবং উন্নয়নকে সামনে রেখেই বাজেট তৈরির ভাবনা রাজ্যের। সূত্রের খবর, যে দফতরগুলো জনপরিষেবা এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে, এবারের বাজেটে সেগুলির বরাদ্দ বাড়বে। পাশাপাশি যারা নভেম্বরের মধ্যে তাদের বরাদ্দের সিংহভাগ টাকা খরচ করতে পারবে, তাদের বরাদ্দও বাড়ানো হবে। সব মিলিয়ে ৫২টি দফতরকে একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাট মেনে বাজের প্রস্তাব পেশ করতে বলে অর্থ দফতর।
আজ, শুক্রবার বাজেট প্রস্তাব জমা দেওয়ার শেষ দিন। বিভিন্ন দফতর থেকে বাজেট প্রস্তাব পেশ হওয়ার পরই বোঝা যাবে কর্মস্থানের পরিসর কতটা রয়েছে। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণাঙ্গ বাজেট তৈরির রূপরেখা শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অর্থ দফতরকে। কী থাকবে সেখানে? তা নিয়ে বাড়ছে জল্পনা। তবে, সূত্রে খবর, জন পরিষেবামূলক দফতর অর্থাত্ পঞ্চায়েত, পুরসভা, স্বাস্থ্য, নারী ও শিশু কল্যাণ, আবাসন দফতরগুলোর উপর বেশি জোর দেওয়া হবে বাজেটে। এই সব ক্ষেত্রগুলিতে কর্মসংস্থানের খোঁজ করা হবে।
আরও পড়ুন- ‘সুপ্রিম রায়ে’ বেড়েছে জটিলতা! সবরীমালা মন্দির দর্শনে মহিলাদের নিরাপত্তা দেবে না কেরল সরকার
উল্লেখ্য, নবান্নের পর্যালোচনা বৈঠকে আমলা-অফিসারদের কড়া নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব। উন্নয়নের কাজে কোনওরকম গাফিলতি যে আর বরদাস্ত করা হবে না, এদিন সেটাও স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছেন রাজীব সিনহা। কাজ ফেলে রাখা যাবে না। বরাবরই এই মন্ত্রে বিশ্বাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লাল ফিতের ফাঁস আলগা করে দ্রুত কাজ করার লক্ষ্যে একাধিক পদক্ষেপও করেছেন। তারপরও কোনও কোনও দফতরের দীর্ঘসূত্রিতার অসুখ পুরোপুরি সারেনি। আর তাতেই বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের কাজে গতি আনতে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী-সচিবদের পাঠ নিলেন মুখ্যসচিব।