বিস্ফোরক তথ্য- স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে হাওয়ালা পথে টাকা যেত জঙ্গিদের কাছে
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে হাওয়ালা পথে টাকা পৌঁছত জঙ্গিদের কাছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এমনই বিস্ফোরক তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। তদন্তকারীদের রাডারে রয়েছে এরাজ্যের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।
ওয়েব ডেস্ক: স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে হাওয়ালা পথে টাকা পৌঁছত জঙ্গিদের কাছে। খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এমনই বিস্ফোরক তথ্য হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। তদন্তকারীদের রাডারে রয়েছে এরাজ্যের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও।
NIA-র পাশাপাশি খাগড়াগড় বিস্ফোরণের তদন্ত করছে EDও। মূলত জঙ্গিদের অর্থের উত্স খোঁজাই তাদের লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের ফিনানফিয়াল ইনটালিজেন্স ইউনিটের দাবি.. পশ্চিম এশিয়ার ৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে জেহাদিদের হাতে অর্থ পৌছয়। ৩টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইতিমধ্যেই জঙ্গিযোগের কারণে কালো তালিকাভুক্ত।
গত ৩ বছর জেএমবি এইভাবে ১৫ কোটি টাকা পেয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের সূত্র ধরে ED ইতিমধ্যেই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে পাঁচটি অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করেছে। এই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমেই জঙ্গি তহবিলে টাকা পৌছত। মিলেছে ১১টি প্যানকার্ডও। প্যান কার্ডের সূত্র ধরে হদিশ মিলেছে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও।
অসমে ধৃত জঙ্গি নেতা শাহনূরকে জেরা করে জঙ্গি তহবিল সংক্রান্ত একাধিক তথ্য মিলেছে। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন হাওয়ালা ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে তহবিল পৌছে দিতে একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করত জঙ্গিরা। উঠে আসছে দুটি NGO-র নামও। ইডি সূত্রে খবর, জঙ্গিদের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে NIA-র কাছে। সেই তথ্য হাতে পেলেই NGO দুটির ভূমিকা আরও স্পষ্ট হবে। তারপরই শাহনূর ও সাজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে ইডি।