সারদা গোষ্ঠীর টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে রহস্যজনক লেনদেনের হদিশ
সারদা গোষ্ঠীর চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে রহস্যজনক লেনদেনের হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা। মিলেছে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস। একটি বিশেষ রিপোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক: সারদা গোষ্ঠীর চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশে রহস্যজনক লেনদেনের হদিশ পেলেন তদন্তকারীরা। মিলেছে গভীর ষড়যন্ত্রের আভাস। একটি বিশেষ রিপোর্ট।
শুধু ভারত নয়। ব্রডকাস্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইড সংস্থার তারা টিভিতে লগ্নি করেছিলেন বাংলাদেশের বহু ব্যক্তি। তালিকায় রয়েছেন কয়েকজন রাজনীতিকও। কিন্তু কোম্পানির নথিতে তাঁদের নাম, পরিচয় বা অর্থের উল্লেখ নেই। ED-র কাছে এমনই চাঞ্চল্যকর বয়ান দিয়েছেন চ্যানেলের এক শীর্ষস্থানীয় কর্মচারী। সেই বয়ানের সূত্র ধরেই আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে ED ও সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে মউ স্বাক্ষরের পর, দুহাজার দশ ও বারো সালে তারার ঢাকা অফিসের জন্য প্রচুর টাকা বরাদ্দ করা হয়।
কিন্তু,অডিট রিপোর্টে সেই খরচের উল্লেখ নেই। ব্যালান্স শিটে হিসাব বহির্ভুত খাতে ওই খরচকে রাখা হয়েছে। এছাড়াও তারা গোষ্ঠীর চ্যানেল হস্তান্তর ধরা পড়েছে বেশ কিছু অসঙ্গতি। প্রশ্ন উঠছে,
সারদা গোষ্ঠীর সঙ্গে মউ স্বাক্ষরের পরেই তারার ঢাকা অফিসের বরাদ্দ চারগুণেরও বেশি বাড়ল কেন?
ওই বরাদ্দ কেন হিসাব বহির্ভুত খাতে দেখানো হয়েছে?
বাংলাদেশ থেকে যে টাকা ব্রডকাস্ট ওয়ার্ল্ডওয়াইডে লগ্নি করা হয়েছে তার উল্লেখ কেন সংস্থার অডিট রিপোর্টে নেই।
ঢাকা অফিসের বরাদ্দের হিসেবে পাঠানো টাকা কোথায় গেছে? তারা টিভির প্রাক্তন কর্ণধার রতিকান্ত বসু বা সুদীপ্ত সেন কেউই এই প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। গভীরতর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেনা তদন্তকারীরা।