সংবাদমাধ্যমের প্রশংসায় `বিব্রত` দময়ন্তী, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন মহাকরণে

পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে তুমুল বিতর্কের জেরে সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন পুলিস কর্তারা। বৈঠকে ছিলেন পুলিস কমিশনার আর কে পচনন্দা, কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান দনয়ন্তী সেন, যুগ্ম পুলিস কমিশনার জাভেদ শামিম। বৈঠকের পর মহাকরণেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দময়ন্তী সেন ও জাভেদ শামিম।

Updated By: Feb 20, 2012, 02:28 PM IST

পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে তুমুল বিতর্কের জেরে সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলেন পুলিস কর্তারা। বৈঠকে ছিলেন পুলিস কমিশনার আর কে পচনন্দা, কলকাতা পুলিসের গোয়েন্দা প্রধান দনয়ন্তী সেন, যুগ্ম পুলিস কমিশনার জাভেদ শামিম। বৈঠকের পর মহাকরণেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন দময়ন্তী সেন ও জাভেদ শামিম। পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের তদন্তের সাফল্যে সংবাদমাধ্যমের প্রশংসায় তিনি বিব্রত বলে জানিয়ে দময়ন্তী সেন জানান, এই সাফল্য তাঁর একার নয়। গোটা পুলিস মহল ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করাতেই দোষীদের ধরা সম্ভব হয়েছে। জাভেদ শামিম জানান, মুখ্যমন্ত্রী তদন্তে কোনও সময়েই হস্তক্ষেপ করেননি। আমরা ওঁকে সমস্ত তথ্য দিতে এসেছিলাম। সংবাদমাধ্যমের প্রচারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলেও জানান যুগ্ম পুলিস কমিশনার।
পুরো ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে নগরপালের ভূমিকা নিয়ে। যেখানে কোনও অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে পুলিসের উচিত সবার আগে সেই ঘটনার তদন্ত করা, সেখানে নগরপালের গলায় শোনা গিয়েছে রাজনৈতিক সুর। তদন্তের মাঝপথেই সাংবাদিক বৈঠক করে পচনন্দা জানান, ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা। শুধু তাই নয়, ঘটনার সঙ্গে বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ হাসিম আবদুল হালিমের ছেলে ফারুখ হালিমকে জড়িয়ে রাজনৈতিক রং দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়। যদিও পরে তদন্তে প্রমাণিত হয় ফারুখ হালিম সম্পূর্ণ নির্দোষ। বরং তিনি ঘটনার রাতে তিনি ধর্ষিতাকে সাহায্য করেছিলেন।
এর আগে একইরকম ভাবে রিজওয়ানুর কাণ্ডের সময় তদন্তের মাঝপথেই ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে বিপাকে পড়েন তত্‍কালীন পুলিস কমিশনার প্রসূন মুখোপাধ্যায়। পরে তদন্তে তা আত্মহত্যা হিসেবে প্রমাণিত হলেও, ততদিনে প্রসূনবাবুকে সরিয়ে দিয়েছিল তত্‍কালীন রাজ্য সরকার। পার্কস্ট্রিট কাণ্ডে পচনন্দার বক্তব্য ভুল প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে সরানো হবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে নাগরিক সমাজ।

.