মহার্ঘভাতার অধিকার আইনি অধিকার : হাইকোর্ট
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়, মহার্ঘ ভাতা দয়ার দান।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ডিএ কোনও দয়ার দান নয়। মহার্ঘভাতার অধিকার আইনি অধিকার। রোপা আইন অনুযায়ী একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারী ডিএ পেয়ে থাকেন। ডিএ মামলায় রায় ঘোষণা করে সাফ জানাল কলকাতা হাইকোর্ট। পঞ্চম বেতম কমিশনের সুপারিশ মেনে ২০০৯ সালে তৈরি হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিসেস রিভিশন অফ পে অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স রুলস বা রোপা আইন।
বকেয়া ডিএ নিয়ে ২০১৬-র ২১ নভেম্বর স্যাটে মামলা করেছিলেন সরকারি কর্মীরা। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল রায় দেয়, মহার্ঘ ভাতা দয়ার দান। ডিএ দেওয়া বা না দেওয়া সম্পূর্ণটাই নির্ভর করে সরকারের উপর। সেই রায় নিয়ে বিতর্ক মাথাচাড়া দেয়। আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর মার্চে হাইকোর্টে মামলা করে একাধিক কর্মী সংগঠন।
আরও পড়ুন, সফল অস্ত্রোপচার, মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে মালদার মানিকচকের গুলিবিদ্ধ শিশু
দেড় বছরের শুনানির শেষে এদিন মামলার রায় ঘোষণা করল হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শেখর ববি শরাফের ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের এদিনের রায়ে সাফ খারিজ হয়ে গেল স্যাটের রায়। পাশাপাশি, এদিন ডিভিশন বেঞ্চ আরও একটি নির্দেশ দিয়েছে। আদালত এদিন নির্দেশ দিয়েছে, জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গেই বাড়বে ডিএ। উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী সর্বভারতীয় দ্রব্যমূল্য সূচকের উপর ভিত্তি করেই মহার্ঘভাতা নির্ধারণ করার কথা।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের তুলনায় রাজ্য সরকারি কর্মীরা ৪৭ শতাংশ কম ডিএ পান। ডিএ বৈষম্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে সরকারি কর্মীদের দুটি সংগঠন। প্রশ্ন ওঠে, অন্য রাজ্যে কর্মরত রাজ্য সরকারি কর্মীরা কেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সমহারে ডিএ পাবেন অথচ এরাজ্যে কর্মরতরা বঞ্চিত হবেন? এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য স্যাটকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কত হারে ডিএ পাবেন? কেন্দ্রের হারেই রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে কি না? সেই বিষয়ে ২ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে স্যাটকে।
আরও পড়ুন, মধ্যযুগীয় বর্বরতা! ডাইন অপবাদে খুনের হুমকি স্বামীকে
স্বাভাবিকভাবেই এদিনের হাইকোর্টের রায় রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড়সড় জয়। পাশাপাশি এই রায়ে চাপ বাড়ল সরকারের উপর। একদিকে যেমন সরকারকে বকেয়া মেটাতে হবে। তেমনই আদালতের আজকের নির্দেশের পর সরকারের সামনে এখন ডিএ-এর বৈষম্য মেটানোর চ্যালেঞ্জ।