কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝড় উঠেছে সিপিএম পার্টির অন্দরে
ওয়েব ডেস্ক: জ্যোতি বসু থেকে শুরু। তারপর কংগ্রেসের সঙ্গে জোট।শেষপর্যন্ত সীতারাম ইয়েচুরিকে রাজ্যসভায় প্রার্থী করতে না দেওয়া। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ঝড় উঠেছে পার্টির অন্দরে। এনিয়ে এবারের পার্টি কংগ্রেসের পাল্টা দলিল জমা পড়তে চলেছে। যে দলিলের মূল কথা কেন্দ্রীয় কমিটি এভাবে সব সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে পারে না।একের পর এক এমন ঘটনায় সিপিএমের অন্দরে এখন তীব্র বিতর্ক। দলের একাংশ মনে করছেন, সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে যেভাবে সিদ্ধান্ত চাপানো হচ্ছে তাতে ফল ভুগতে হচ্ছে দলকে।তামিলনাড়ুর কোনও নেতা পশ্চিমবঙ্গে কোনওদিন রাজনীতি না করে এখানকার সিপিএমের কি করা উচিত তানিয়ে মতামত দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। দলের একাংশের বক্তব্য এর পরিবর্তন হওয়া দরকার।সেজন্যই এবারের পার্টি কংগ্রেসে পাল্টা দলিল দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল। উদ্যোক্তা পশ্চিমবঙ্গ। রাজনৈতিক মহলে খবর।
আরও পড়ুন নারদকাণ্ডে জোড়া জেরা: ইডি থেকে বেরোলেন শুভেন্দু, মুকুল এখনও সিবিআইয়ে
গৌতম দেব সহ দলের বেশকয়েকজন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ইতিমধ্যেই একাজে হাত দিয়েছেন।তাঁদের অনুগামীদের সঙ্গেও আলোচনা চলছে গোপনে শেষপার্টি কংগ্রেসে সিদ্ধান্ত হয়, বিজেপি ও কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখা হবে। দলের একাংশ মনে করছেন,আজকের পরিপ্রেক্ষিতে এটা ভুল পথ। পার্টির এইমুহুর্তে যে শক্তি তাতে এককভাবে লড়াই করার ক্ষমতা দলের নেই। ধরতেই হবে কংগ্রেসের হাত।রাজ্যভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রেও যুক্তি সামনে আনছেন রাজ্য নেতারা। তাদের বক্তব্য, সিপিএমের গণতান্ত্রিক কেন্দ্রিকতা মেনেও, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রাজ্যের ওপরই ছাড়া উচিত। বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে সংখ্যা গরিষ্ঠতার জোরে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে তা চাপিয়ে দেওয়া হয়। এই পথেরও পরিবর্তন আনতে হবে। পার্টি কংগ্রেসের পাল্টা দলিল দেওয়া কোনও দল বিরোধী কাজ নয়। এর আগেও বিশিষ্ট নেতারা দলিল দিয়েছেন। তবে বহুদিন পর এরকম দুটি ইস্যু নিয়ে দলিল তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কাটাছেঁড়া চলছে তবে, সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে যেভাবে বাংলার সিপিএম গড়ার দাবি উঠছে তাতে এ দলিল যে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ তাতে সন্দেহ নেই।
আরও পড়ুন 'গোটা বাড়িটাই চাই', অসহায় বৃদ্ধা মাকে মারধরের অভিযোগ শিক্ষিকা মেয়ের বিরুদ্ধে