বিচ্ছেদ সম্পূর্ণ, মমতার মন্ত্রিসভা থেকে পাল্টা পদত্যাগ কংগ্রসের
ইস্তফার পর পাল্টা ইস্তফা। রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেসের মন্ত্রীরা। বিকেল পাঁচটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করলেন কংগ্রেসের ছয় মন্ত্রীরা। এরপর তাঁরা যান রাজভবনে।
অবশেষে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেসের ছ'জন মন্ত্রী। বিকেল পাঁচটা নাগাদ মানস ভুঁইঞার নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন আবু হেনা, আবু নাসের খান চৌধুরী, সুনীল তিরকে, প্রমথনাথ রায় এবং সাবিনা ইয়াসমিন। মহাকরণ থেকে বেরিয়ে এসে মানস ভুঁইঞা জানান, গত এক বছরে কংগ্রেসের মন্ত্রীরা ভাল কাজ করেছেন বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। ভবিষ্যতে প্রয়োজনে কংগ্রেসের মন্ত্রীদের যোগাযোগ করার বার্তাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমর্থন প্রত্যাহার এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সম্পর্কে বার্তা নিয়ে এরপর কংগ্রেসের বিদায়ী মন্ত্রীরা যান রাজ্যপালের কাছে।
ষোলো মাসের সম্পর্কের আপাতত ইতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দিলেন কংগ্রেসের ছয় মন্ত্রী। মহাকরণ থেকে এরপর রাজভবন। সরকারের ওপর থেকেও সমর্থন প্রত্যাহারের চিঠি প্রদীপ ভট্টাচার্য তুলে দেন রাজ্যপালের হাতে।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত কংগ্রেস ছিল রাজ্যে সরকারি দল। সন্ধে ছটার পর কংগ্রেসের গায়ে ফের বিরোধী দলের তকমা। কেন ভেস্তে গেল জোট? ষোলো মাসের মধ্যেই কেন ভেঙে গেল গাঁটবন্ধন? সূত্রপাতটা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে পদত্যাগ করে। আর তারই জেরে এআইসিসির নির্দেশে পদত্যাগ করতে হল কংগ্রেসের ছয় মন্ত্রীকে। দুই শিবিরের বিচ্ছেদের পর, শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক লাভ লোকসানের অঙ্ক কষা। তৃণমূল শিবির মনে করছে কংগ্রেসকে বাদ দিলে তাদের কোনও ক্ষতি হবে না। অন্যদিকে, কংগ্রেসের বিশ্বাস একলা চললে সাংগঠনির শক্তি তাদের আরও বাড়বে। সব মিলে একটা নতুন সমীকরণের মুখে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস।