ফের আত্মসমর্পণ, রাজ্যসভায় মনোনয়ন প্রত্যাহার মান্নানের
রাজ্যসভা নির্বাচন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন এরাজ্য থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান। দিল্লিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়, সাকিল আহমেদ এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের বৈঠকের পরই মান্নান সাহেবের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
রাজ্যসভা নির্বাচন থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন এরাজ্য থেকে রাজ্যসভা নির্বাচনে একমাত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান। দিল্লিতে প্রণব মুখোপাধ্যায়, সাকিল আহমেদ এবং প্রদীপ ভট্টাচার্যের বৈঠকের পরই মান্নান সাহেবের প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বুধবার বিকেল থেকে জল্পনা আরও চূড়ান্ত রূপ নেয়। শেষ পর্যন্ত এদিন দুপুরে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন কংগ্রেস প্রার্থী। বৃহস্পতিবারই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের চাপে ফের একবার কংগ্রেস নতিস্বীকার করল বলে মনে করছে রাজনৈতিকমহল।
এবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হবেন পাঁচজন। বামেদের একজন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ৪জন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর গত সোমবার এআইসিসির নির্দেশে কংগ্রেসের তরফে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন আবদুল মান্নান। কংগ্রেসের শীর্ষনেতারা জানিয়েছিলেন জেতার বিষয়েও আত্মবিশ্বাসী তাঁরা। কিন্তু তখন থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, আবার মাঝপথে সরে দাঁড়াবে না তো কংগ্রেস? নেতৃত্ব কিন্তু জানিয়েছিলেন এমনটা তাঁদের ভাবনাতেও নেই।
কিন্তু ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এক্কেবারে ভোলবদল। বুধবার দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, সাকিল আহমেদ এবং প্রদীপ ভট্টাচার্য। রাজ্যসভায় প্রার্থী দেওয়া নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় বৈঠকে। কংগ্রেস সূত্রে খবর, মূলত দুটো কারণেই রাজ্যসভা নির্বাচনে পিছু হটার কথা ভাবছে কংগ্রেস। প্রথমতঃ তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে নামলে ফের পড়তে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোষের মুখে । সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়বে সর্বভারতীয় স্তরেও।
দ্বিতীয় কারণ, তৃণমূল কংগ্রেসের তিন প্রার্থীকে ৪৯টি করে ভোট দেওয়ার পরও অতিরিক্ত থাকছে ৩৭টি ভোট। অন্যদিকে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্য ৪২। একজন নির্দল ধরলে ৪৩। এই হিসেবে বামেদের সাহায্য ছাড়া কংগ্রেসের পক্ষে জেতা কঠিন। ফলে এআইসিসি নেতৃত্বের অভিমত বামেদের সাহায্য ভোটে জিতলে রাজ্যস্তরে আরও চাপের মুখে পড়বে কংগ্রেস । কিন্তু পাল্টা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের প্রশ্ন, এই সমস্ত সমীকরণ এবং সম্ভাবনা জানার পরেই তো প্রার্থী দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল এআইসিসি।
এদিন মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর এক সাংবাদিক বৈঠকে আব্দুল মান্নান বলেন, "হাইকম্যান্ডের নির্দেশে প্রার্থী হয়েছিলাম। তাঁদের নির্দেশেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছি। কংগ্রেসের এমন অনেক আত্মত্যাগের ইতিহাস আছে।"
আব্দুল মান্নানের মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর রাজ্যসভা নির্বাচনে পাঁচ প্রার্থীকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূলের ৪জন প্রার্থী ও বামেদের এক প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছেন নাদিমুল হল, কুণাল ঘোষ, বিবেক গুপ্তা ও রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। জয়ী হয়েছেন বাম প্রার্থী তপন সেনও। জয়ী প্রার্থীদের হাতে ইতিমধ্যে শংসাপত্র তুলে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।