বিধানসভায় চিট ফান্ড নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

সাড়ে তিন বছরে শাসকদলকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে ফেলেছে চিটফান্ড ইস্যু। সারদা কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত তৃণমূল পিয়ারলেস,ওভারল্যান্ডের মতো ইস্যুকে সামনে এনে বিরোধী বামেদের দিকে আঙুল তুলেছে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বিধানসভায় বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন বিধানসভায় শুধু এই ইস্যুতেই একদিন আলোচনা হোক।

Updated By: Mar 2, 2015, 11:36 PM IST
বিধানসভায় চিট ফান্ড নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর

কলকাতা: সাড়ে তিন বছরে শাসকদলকে সবচেয়ে বেশি অস্বস্তিতে ফেলেছে চিটফান্ড ইস্যু। সারদা কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত তৃণমূল পিয়ারলেস,ওভারল্যান্ডের মতো ইস্যুকে সামনে এনে বিরোধী বামেদের দিকে আঙুল তুলেছে। সম্প্রতি এই ইস্যুতে বিধানসভায় বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতা। মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাব দেন বিধানসভায় শুধু এই ইস্যুতেই একদিন আলোচনা হোক।

সারদা কেলেঙ্কারিতে যতবারই অভিযুক্ত হয়েছে তৃণমূল ততবারই তারা বলেছে সারদার শুরু বাম আমলে। তাদের আমলে নয়। আত্মপক্ষ সমর্থনে শাসকদলের এটাই একমাত্র হাতিয়ার।কিন্তু, বিরোধীরা নাছোড়।কারণ এই ইস্যুতে জেলে গেছেন তৃণমূলের এক মন্ত্রী।

জেল খাটছেন এক সাংসদ। অভিযুক্ত আরও বেশকয়েকজন সাংসদ এবং প্রথম সারির নেতারা। বাজেট অধিবেশনের শুরুতে  মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় সারদা ইস্যুতে তুমুল হৈ হট্টগোল বাধিয়ে দেন বিরোধীরা। সরকারের মুখ রক্ষার জন্য পাল্টা চাল দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন,বিধানসভায় বিশেষ আলোচনা হোক।

তবে, তা শুধু সারদা নয়। ১৯৮০ সাল থেকে যতগুলি চিটফান্ড রাজ্যে ব্যবসা করেছে সব নিয়েই আলোচনা হোক। সোমবার শাসকদলের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাব আনা হলে তা গ্রহণ করেছেন স্পিকার। আগামী ৪ তারিখ এই ইস্যুতে বিধানসভায় একঘণ্টা আলোচনা হবে। তৃণমূলের প্রস্তাব ছিল, ১৯৮০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চিটফান্ডগুলি নিয়ে আলোচনার। কংগ্রেস দাবি করে ২০১১ নয়, এখনও পর্যন্ত সমস্ত চিটফান্ড নিয়েই আলোচনা হোক।

চিটফান্ডগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দু দুবার বিধানসভায় বিল পাশ করিয়েছে সরকার। সেই বিলে রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্টের কথা বলা আছে। যার ফলে ওই বিল আইনে পরিনত হলে শুধু সারদা নয় যতগুলি চিটফান্ড আছে সবগুলির বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া যাবে। কিন্তু, সেই সময় আইনজ্ঞরা বলেছিলেন, এই বিলে রেট্রোস্পেকটিভ এফেক্ট সম্ভব নয়। আইনি জটে বিল পাশ হবেনা। কিন্তু, তখন তা মানতে অস্বীকার করে সরকার। শেষপর্যন্ত সেই আইনিজটের কারণেই এখনও চিটফান্ড বিলে রাষ্ট্রপতি সই করেননি।

কেন্দ্র বেশকয়েকটি সংশোধনী দিয়ে রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠিয়েছে বিলটি। নিশ্চিতভাবেই দেখার সংশোধনী সহ সেই বিলটি কবে বিধানসভায় পেশ করে সরকার।

 

.