সমস্যা মেটেনি সিঙ্গুরে, বর্ষপূর্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর স্বীকারোক্তি
বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে নিজের সরকারের ঢালাও প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কৃষি থেকে শিল্প, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা - সব ক্ষেত্রেই গত এক বছরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে রাজ্য সরকার।
বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে নিজের সরকারের ঢালাও প্রশংসা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, কৃষি থেকে শিল্প, শিক্ষা থেকে স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান থেকে আইনশৃঙ্খলা - সব ক্ষেত্রেই গত এক বছরে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে রাজ্য সরকার। পাহাড় ও জঙ্গলমহলে শান্তি ফেরানোর দাবি করলেও সিঙ্গুর সমস্যা যে মেটানো যায়নি তা স্বীকার করে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার মিলনমেলা প্রাঙ্গনে সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে প্রগতি উত্সবের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন সহ রাজ্যের মন্ত্রী-আমলারা। এক বছরে সরকারের কাজের খতিয়ান উল্লেখ করে প্রত্যাশা থেকে প্রাপ্তি নামে একটি বইও প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। দাবি করেন, মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির প্রায় সবই বাস্তবায়িত করেছে তাঁর সরকার।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, গত এক বছরে মেটানো গেছে পাহাড় ও জঙ্গলমহলের সমস্যা। হাল ফিরেছে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার।
বিরোধী দলনেত্রী থেকে মহাকরণে যাওয়ার পথে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি যে রাখা যায়নি, তা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি। এদিন, সেই অনিচ্ছুক কৃষক ও খেতমজুরদের মাসে এক হাজার টাকা ও দু'টাকা কিলো দরে চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রগতি উত্সবে মিলনমেলায় স্টল দিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন দফতর। অনুষ্ঠান হচ্ছে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেল ও রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গনেও। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পেশাদার সংস্থাকে। খরচ প্রায় তিরিশ কোটি টাকা। শনিবার, উত্সব মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের আর্থিক টানাটানির কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সাহায্য চেয়ে বহুবার কেন্দ্রের কাছেও দরবার করেছেন তিনি। এই অবস্থায় বহু কোটি টাকা খরচ করে বর্ষপূর্তি উত্সব পালন করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।