NPR নিয়ে সব রাজ্যই কেন্দ্রের পাশে, বাদ খালি তৃণমূল বাংলা ও সিপিএম কেরল
সরকারি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার চালু করার জন্য সব রাজ্যই ফের নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জিকরণ (NPR) নিয়ে চাপে পড়ে গেল কেরল ও পশ্চিমবঙ্গ। মুখে বিরোধিতা করলেও এনপিআর-কে ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস শাসিত সব রাজ্যই। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, শুধুমাত্র স্থগিত রেখে দিয়েছে বাম কংগ্রেস ও তৃণমূল বাংলা।
সরকারি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্ট্রার চালু করার জন্য সব রাজ্যই ফের নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলেও তা স্থগিত রয়েছে। NPR নিয়ে অবস্থান যে বদলায়নি তা এদিন রানি রাসমনিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নামঞ্চ থেকে আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘোষণা করেছেন, ১৭ তারিখ NPR নিয়ে বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ওই বৈঠকে যোগ দেবে না বাংলার সরকার। সরকার ভেঙে দিলে দিক, আমি যাব না। কেরল সরকারও অনড়। তারাও জানিয়েছে, রাজ্যে এনপিআর চালু হতে দেবে না। সোমবার এনআরসি নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল কংগ্রেস। ১৫টি বিরোধী দল সামিল হয়েছিল ওই বৈঠকে। যদিও তৃণমূল, সপা, বসপার মতো দলগুলি অনুপস্থিত থেকেছে। স্বাভাবিকভাবে এনপিআর নিয়ে কংগ্রেসশাসিত রাজ্যগুলি সবুজ সংকেত দেওয়ায় চাপ বাড়বে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরল সরকারের উপরে।
২০২১ সালে এনপিআরে বেশ কয়েকটি নতুন বিষয় যুক্ত হয়েছে। ২০১১ সালে শুধুমাত্র মহিলা ও পুরুষই ছিল। এখন যোগ হয়েছে রূপান্তরকামী। এর পাশাপাশি আগে সমীক্ষায় জানতে চাওয়া হচ্ছিল, শৌচালয় আছে কিনা। এবার শৌচালয়ের ব্যবস্থা জানতে চাইবেন সমীক্ষকরা। এছাড়া কী ধরনের ডাল খান, তাও জানতে চাওয়া হবে।
বিরোধীরা আপত্তি করলেও NPR নিয়ে প্রশিক্ষণে ছেদ টানেনি কেন্দ্রীয় সরকার। বরং গতিতে কাজ চলছে। পরীক্ষামূলকভাবে শুরুও হয়ে গিয়েছে এনপিআর। বলে রাখি, ২০১০ সালে ইউপিএ জমানায় প্রথম শুরু হয়েছিল এনপিআর।
আরও পড়ুন- সোনা চুরি করে ধরা পড়েছেন, কাগজ দেখাতে পারেননি, কটাক্ষ দিলীপের