চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার SVF কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা
এদিন প্রথমে কসবার একটি অভিজাত শপিং মলে এসভিএফ-এর অফিসে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা শ্রীকান্ত মোহতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চিটফান্ড দুর্নীতিতে গ্রেফতার এসভিএফ কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতা। রোজভ্যালি কাণ্ডে গ্রেফতার করা হল শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারকে। এদিন দীর্ঘ জেরার পর এসভিএফ কর্ণধারকে প্রথমে সংস্থার অফিসেই আটক করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। পরে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ফের জেরা করা হয়। আর তারপরই শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
সিবিআই সূত্রে খবর, আজই ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হবে শ্রীকান্ত মোহতাকে। আগামিকাল খুরদা রোড আদালতে পেশ করা হবে তাঁকে। এসভিএফ কর্ণধারের বিরুদ্ধে প্রায় ২৪ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। রোজভ্যালি কাণ্ডে সংস্থার কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুকে জেরা করে এসভিএফ কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে তাঁর আর্থিক লেনদেনের তথ্য তদন্তকারী অফিসারদের হাতে আসে। অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে রোজভ্যালির ব্যবসা বাড়াতে সাহায্য করেছিলেন শ্রীকান্ত। সেজন্য বিভিন্ন সময়ে মোটা টাকা নিয়েছেন। আবার অনেক সময়ে সিনেমা বানানোর নামে টাকা নিয়েও শ্রীকান্ত মোহতা সিনেমা বানাননি। পাশাপাশি, শ্রীকান্ত মোহতার বিরুদ্ধে গৌতম কুণ্ডুকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে রোজভ্যালি কর্ণধারকে জেরায়। গৌতম কুণ্ডুকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত জেরায় পাওয়া তথ্যের সঙ্গে এদিন শ্রীকান্ত মোহতার বয়ান না মিলতেই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা।
উল্লেখ্য, সারদা কাণ্ডেও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় শ্রী ভেঙ্কটেশ কর্ণধারকে। অভিযোগ, রোজভ্যালির মতো সারদার ব্যবসা বাড়াতেও সুদীপ্ত সেনকে সহযোগিতা করেছিলেন শ্রীকান্ত মোহতা। মোটা টাকার বিনিময়ে একাজ করেছিলেন শ্রীকান্ত। প্রসঙ্গত, সারদার টাকা হাওলার মাধ্যমে বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে শ্রীকান্তের বিরুদ্ধে। ২০১৫ সাল থেকেই এই অভিযোগে তদন্ত শুরু করে আয়কর দফতর। শ্রীকান্ত মামলায় তাই আয়কর দফতরেরও সাহায্য নিচ্ছে সিবিআই। অভিযোগ, সারদার টাকাতেই একাধিক সিনেমার বিদেশে শুটিং সারেন প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা। ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে তারপর তিনি সেই খরচ মেটান।
আরও পড়ুন, চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে শ্রীকান্ত মোহতাকে জেরা করতে এসভিএফ অফিসে সিবিআই
এদিন প্রথমে কসবার একটি অভিজাত শপিং মলে এসভিএফ-এর অফিসে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা শ্রীকান্ত মোহতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। জেরায় সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারী অফিসাররা। বহু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি এসভিএফ-এর কর্ণধার। বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি ছিল। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বহু নথিপত্রও দেখাতে পারেননি শ্রীকান্ত মোহতা। তারপরই তাঁকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নেন তদন্তকারী অফিসাররা।
অন্যদিকে, শ্রীকান্ত মোহতার গ্রেফতারি প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, "সিবিআই ঠিক কাজ-ই করেছে। চোর, ডাকাতদের কি পুজো করবে সিবিআই? ওনার চারপাশে এমন মানুষের সংখ্যা-ই বেশি।"