আড়াই ঘণ্টা জেরার পর চিটফান্ড দুর্নীতিতে আটক প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা
শ্রীকান্ত মোহতার বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি। দিতে পারেননি নথি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চিটফান্ড দুর্নীতির তদন্তে শ্রীকান্ত মোহতাকে আটক করল সিবিআই। দীর্ঘ জেরার পর এসভিএফ কর্ণধারকে আটক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এদিন কসবার একটি অভিজাত শপিং মলে এসভিএফ-এর অফিসে দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টা শ্রীকান্ত মোহতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। তারপরই তাঁকে আটক করা হয়। আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারকে।
সিবিআই সূত্রে খবর, সারদা গ্রুপের কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও রোজভ্যালির কর্ণধার গৌতম কুণ্ডুর সঙ্গে শ্রীকান্ত মোহতার বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। চিটফান্ড তদন্তে নেমে সেই কথা জানতে পারেন তদন্তকারী অফিসাররা। সেই প্রসঙ্গেই শ্রীকান্ত মোহতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় সিবিআই। সাক্ষী হিসেবে তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করা প্রয়োজন ছিল।
আরও পড়ুন, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কান্দি, চলে বেপরোয়া ইট বৃষ্টি, বোমাবাজি
সূত্রে খবর, সারদা কাণ্ডে একটি মামলায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল শ্রীকান্ত মোহতাকে। জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য বার বার তলব করা হয় তাঁকে। সর্বসাকুল্যে একবার হাজিরা দিয়েছিলেন এসভিএফ কর্ণধার। তারপর আরও ৩ থেকে ৪ বার তাঁকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু প্রতিবার-ই হাজিরা এড়িয়ে যান শ্রীকান্ত মোহতা। কোনওবার-ই তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করেননি তিনি।
আর সেই কারণেই সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসাররা এবার এসভিএফ-এর অফিসে গিয়ে শ্রীকান্ত মোহতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সিদ্ধান্ত নেন। আইনজীবী নিয়েই সোজা এসভিএফ অফিসে পৌঁছে যান সিবিআই অফিসাররা। শ্রীকান্ত মোহতাকে জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে সিবিআই-এর তরফে জানানো হয় কলকাতা পুলিসকেও। পাশাপাশি, এসভিএফ-এর তরফেও কলকাতা পুলিসকে জানানো হয়। এসভিএফ-এর অফিসে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিসের আধিকারিকরাও।
আরও পড়ুন, মদের আসরে মাথা থেঁতলে খুন যুবক
এরপর দীর্ঘ সময়, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয় শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধারকে। সিবিআই সূত্রে খবর, জেরায় সন্তুষ্ট হননি তদন্তকারী অফিসাররা। বহু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি এসভিএফ-এর কর্ণধার। শ্রীকান্ত মোহতার বয়ানে প্রচুর অসঙ্গতি ছিল। আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বহু নথিপত্রও দেখাতে পারেননি শ্রীকান্ত মোহতা। আর তাই তাঁকে আটক করে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে গিয়ে জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। এসভিএফ কর্ণধারকে সিজিও কমপ্লেক্সে জেরার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রয়োজনে তাঁকে ভুবনেশ্বর নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলেও সিবিআই সূত্রে খবর।