সাত পুরসভায় ভোট নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য

Updated By: May 15, 2015, 02:34 PM IST
সাত পুরসভায় ভোট নিয়ে হাইকোর্টে ধাক্কা খেল রাজ্য

হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল রাজ্য। সাত পুরসভায় ভোট নিয়ে রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ করল হাইকোর্ট। রাজ্য নির্বাচন কমিশন চাইলে জুনেই সাত পুরসভার ভোট করতে পারে বলে জানিয়ে দিল আদালত। এই বিষয়ে একতরফা বিজ্ঞপ্তিও জারি করতে পারে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।  

কমিশন হলফনামা দিয়ে জানায়, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী জুন মাসেই ভোট করতে তারা প্রস্তুত। কিন্তু ভোট পিছোতে চাই রাজ্য সরকার। এই অবস্থায় কী করা উচিত, তা জানতে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় তারা।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিধাননগরের ২৫টির মধ্যে বিজেপি পায় ১৮টি ওয়ার্ড। রাজ্যে যে দলের সরকার থাকবে পৌরসভা ও পঞ্চায়েত তাদেরই দখলে থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনা থেকেই শুরু হয় সল্টলেকের সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার সংযুক্তিকরণ প্রক্রিয়া। তারফলে ৯২টি পুরসভার সঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক-
কর্পোরেশন হলে কী সুবিধা

১) কর্পোরেশনে এমন কিছু আইন আছে যার মাধ্যমে নিজেদের কাজের পরিধি বিস্তার করা সম্ভব। যা পুরসভার হাতে নেই।
২) কর্পোরেশন হলেই বিদেশি, কেন্দ্রীয় সরকারের নানারকম আর্থিক সাহায্য পাওয়া যায়। যা পুরসভার ক্ষেত্রে সম্ভব নয়।

মূলত এই দুটি যুক্তি সামনে রেখে রাজ্য সরকার কর্পোরেশন করতে এগোচ্ছে।

কিন্তু বিরোধীরা এই পুরসভার ক্ষেত্রে আপত্তি তুলেছে। তাদের মতে এটি একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত। সল্টলেকের পরিকাঠামোর সঙ্গে কোনওভাবেই রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার মিল নেই।

বিজ্ঞপ্তি জারি করে একমাস সময় দিয়েছে রাজ্য সরকার। আপত্তি থাকলে তা জানাতে হবে এই সময়ের মধ্যেই। যদিও শাসকদলের পক্ষ থেকে অগাস্টের মধ্যে ভোট হবে, এমনই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে।

বিধাননগরের পঁচিশটি ওয়ার্ড, রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার সাতাশটি ওয়ার্ড এবং মহিষবাথান  দু নম্বর পঞ্চায়েত সমিতি নিয়ে গড়া হবে কর্পোরেশন। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতেই বিজ্ঞপ্তি জারিও করেছে সরকার।

.