Primary Teacher Recruitment: ১৩ বছর পার, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি পেতে চলেছে প্রাথমিকে কর্মপ্রার্থীরা!
২০০৯ সালে প্রাথমিকে নিয়োগ পরীক্ষায় পাস করেছিলেন তাঁরা। একমাসেরও বেশি সময়ে অবস্থান বিক্ষোভের পর নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: সময় লেগে গেল ১৩ বছর! দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের অবশেষে নিয়োগের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। নিয়োগের জন্য সময় দেওয়া হল ২ সপ্তাহ। ধর্মতলা থেকে অবশ্য আগেই অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন তাঁরা।
রাজ্যে তখন ক্ষমতায় বামেরা। ২০০৯ সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। নিয়োগের পরীক্ষা হয়েছিল ২০১০ সালের জুলাই মাসে। কিন্তু ততদিনে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ঢাকি কাঠি পড়ে গিয়েছে! চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ১৪ জেলায় নিয়োগ হলেও বঞ্চিত থেকে যায় ৫ জেলা। দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর।
২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। প্রাথমিকে যে পাঁচ জেলায় নিয়োগ তখনও বাকি ছিল, সেই পাঁচ জেলায় ফের পরীক্ষায় হয় তৃণমূল জমানায়। এমনকী, চাকরিও পেয়ে যান উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, মালদহ ও পূর্ব মেদিনীপুরের পরীক্ষার্থীরা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা কেন বাদ পড়ল? চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পর্ষদকে বারবার জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি। ধর্মতলায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের বসার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিপ্রার্থীরা। ৩৭ দিনের মাথায়, মঙ্গলবার সেই অবস্থান বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তাঁরা। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে যাঁরা অবস্থান করছিলেন, তাঁরা জানিয়েছিলেন, 'কুণালবাবুর সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রায় দেওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। সরকার ও আদালতের তরফে নিয়োগ নিয়ে আমরা সবুজ সংকেত পেতে চলেছি'। অবশেষে আশা পূর্ণ হল প্রাথমিকে ২০০৯ সালের চাকরিপ্রার্থীদের।
আরও পড়ুন: Primary TET: অরুণিমা-সহ ৩০ জনের জামিন, ধর্মতলায় ধরনার অনুমতি টেট চাকরিপ্রার্থীদের
এদিকে কলকাতার এক্সাইড মোড়ে চাকরি দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন ৩০ জন টেট প্রার্থী। এমনকী, অরুণিমা পাল নামে এক আন্দোলনকারীকে কামড়ানোর অভিযোগ ওঠেছে পুলিসের বিরুদ্ধে। এদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে ৩০০ টাকা বন্ডে জামিন পেলেন ধৃতেরা। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির সামনে ৪০ দিন ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেট প্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের অনুমতি দিল হাইকোর্ট।