Primary TET Scam: টাকা নিয়ে পাস করানো হয় ৩২৫ প্রার্থীকে, মানিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির

ওই সওয়ালে বলা হয় ২০১৪ সালে ৩২৫ জন অকৃতকার্য টেট পরীক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেল তার খোঁজ করতে গিয়ে মানিকের পরিবারের লোকজনককেও রেডারে রাখতে চাইছে ইডি

Updated By: Nov 10, 2022, 07:22 PM IST
Primary TET Scam: টাকা নিয়ে পাস করানো হয় ৩২৫ প্রার্থীকে, মানিকের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ইডির

কমলাক্ষ ভট্টাচার্য: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও বিপাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। টাকার বিনিময়ে টেট পাস করানো হয় ৩২৫ জনকে। এর পেছনে মুখ্য ভূমিকা রয়েছে মানিকের। আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করল ইডি। কিন্তু দুর্নীতির সেই বিপুল টাকা যেত কোথায়? কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, দুর্নীতির সেই বিপুল টাকা জমা পড়ত মানিকের ছোটভাই, জামাই ও জামাইয়ের বাবার অ্য়াকাউন্টে। তাই গোটা বিষয়টি জানার জন্য মানিককে জেরা করতে চায় ইডি।

আরও পড়ুন-ডাগআউটে বসে অঝোরে কাঁদছেন রোহিত! যে দৃশ্যে বুক ভাঙল ফ্যানদের

টেটে দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত এনিয়ে শুনানি চলে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে। ওই মামলায় ইডির তরফে মোট ৮টি গুরুতর অভিযোগ আনা হয় মানিকের বিরুদ্ধে। আগামী দিন কেন জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জেরা করতে চায় ইডি তারই যুক্তিজাল পেশ করেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আইনজীবী। ওই সওয়ালে বলা হয় ২০১৪ সালে ৩২৫ জন অকৃতকার্য টেট পরীক্ষার্থীকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে। সেই বিপুল পরিমাণ টাকা কোথায় গেল তার খোঁজ করতে গিয়ে মানিকের পরিবারের লোকজনককেও রেডারে রাখতে চাইছে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার দাবি, মানিক ভট্টাচার্যের ব্য়াঙ্ক অ্যাকাউন্ট হ্যান্ডেল করতেন তাঁর আত্মীয়রা। তালিকায় রয়েছেন তাঁর ছোট ভাই, তাঁর জামাই, জামাইয়ের বাবা। পাশাপাশি, ২০১৪ সালে যে ৩২৫ জন ফেল করেও চাকরি পেয়েছেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে ইডি। এছাড়াও তাঁর ডিএলএড কলেজে ভর্তির ব্যাপারেও যে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই টাকার খোঁজও করছে ইডি।

ইডির আইনজীবী সওয়াল করেন, গ্রেট পাওয়ার কামস উইথ গ্রেট রেসপন্সসিবিলিটিস। এই বিখ্যাত উক্তিকে ধরেই তদন্ত করছে ইডি। অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে যেভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে, এটা বড় দুর্নীতি। তথ্যপ্রমাণ নিয়েই ওনার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। উনি তদন্তকে বিপথে চালনা করার চেষ্টা করেছেন। যতবারই অফিসাররা গেছেন, উনি বলেছেন কিছু জানি না। তালিকা দেখিয়ে বলছি কেউ ৩০ হাজার, কেউ ৩৫ হাজার দিয়েছেন। কেউ ৭০ হাজার। এই তালিকা মেলালে ২০ কোটির হিসেব মেলে। বিভিন্ন মনিষীদের নামে ডিএলএড ইন্সটিটিউট খুলে ভর্তির নামে টাকা তোলা হয়েছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.