Recruitment Scam: আরও বিপাকে মানিক; পোস্টিং 'দুর্নীতি'-র তদন্তে এবার সিবিআই, আজই জেরার নির্দেশ
Recruitment Scam: বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের তরফে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা মানিক ভট্টাচার্যের জেরার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে বলা হয়েছে। আাগামিকাল সকালেও মানিককে জেরা করতে বলা হয়েছে
অর্ণবাংশু নিয়োগী: বিপদ বাড়ল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। এবার পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইকে যুক্ত করল আদালত। আজই জেলে গিয়ে তাঁকে জেরা করার নির্দেশ দেওয়া হল। পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল ইডিকে। ফলে তাঁকে জিজ্ঞাসবাদ করতে পারবে ইডিও।
আরও পড়ুন-সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ! ধৃত ৪
উল্লেখ্য, প্রাথমিক শিক্ষকদের পোস্টিং দেওয়ার ক্ষেত্রে ২০২০ সালে দুর্নীতি অভিযোগ ওঠে বাঁকুড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের মতো জেলায়। ওই দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে কলকতাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিত্ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, এটা হল নিউ ডিজাইনড স্ক্যাম। অভিযোগ ওঠে, কাউন্সেলিংয়ের সময়ে চাকরিপ্রার্থীকে জিজ্ঞাসা করা হয় কোন জেলায় তিনি পোস্টিং নিতে চান? অধিকাংশ চাকরিপ্রার্থীই নিজের জেলায় পোস্টিং চান। তখন তাদের বলা হয়, ওই জেলায় পদ খালি নেই। অন্য় জেলায় রয়েছে। কিছুদিন পরেই দেখা যায় ওইসব জেলায় পদ খালি হয়েছে। সেখানেই সন্দেহ। মনে করা হচ্ছে পরিকল্পনা করেই এমনটা করা হয়েছে।
এদিন ওই মামলায় সিবিআই ও ইডিকে যুক্ত করে আদালত। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গঠিত সিট-এর প্রধান অশ্বিনি সেনবি। এদিন তিনি ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন। তাঁকে বলা হয় তিনি যেন আজই মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এনিয়ে কী হল তা সন্ধে ছটার মধ্যে আদালতকে জানাতে হবে। কোনও আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে ইডি। আদালতের পর্যবেক্ষণ গোটা বিষয়টির মাস্টারমাইন্ড মানিক ভট্টাচার্য। এর আগে যে সব মামলা হয়েছে সেখানে হাইকোর্ট কড়া নির্দেশ দিলেও সুপ্রিম কোর্টে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন মানিক।
বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের তরফে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন তারা মানিক ভট্টাচার্যের জেরার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করে। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বটির ভিডিয়ো রেকর্ডিং করতে বলা হয়েছে। আাগামিকাল সকালেও মানিককে জেরা করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এতদিন মানিকের বিরুদ্ধে যেসব মামলা ছিল তা হল নিয়োগ মামলা। এবার যে অভিযোগ তা হল কয়েকটি জেলায় পোস্টিংয়ের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এক্ষেত্রে টাকার লেনদেন হয়েছে। কমপক্ষে ৪ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। ফলে তদন্তকারীদের রেডারে এখন তিনিই।