উৎসবের মরসুমের মাঝেই ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বাস ধর্মঘট
ফের বাড়ল ডিজেলের দাম। কিন্তু সেই অর্থে বাড়ছে না বাস ভাড়া। সরকার অবিলম্বে বাস ভাড়া না বাড়ালে এবার আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে চরম সময়সীমা দেওয়া হল পরিবহণ মালিকদের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ভাড়া না বাড়ালে লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই বলে জানানো হয়েছে পরিবহণ সংঘটনগুলির পক্ষ থেকে।
ফের বাড়ল ডিজেলের দাম। কিন্তু সেই অর্থে বাড়ছে না বাস ভাড়া। সরকার অবিলম্বে বাস ভাড়া না বাড়ালে এবার আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই। আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারকে চরম সময়সীমা দেওয়া হল পরিবহণ মালিকদের পক্ষ থেকে। এর মধ্যে ভাড়া না বাড়ালে লাগাতার ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া তাঁদের আর কোনও উপায় নেই বলে জানানো হয়েছে পরিবহণ সংঘটনগুলির পক্ষ থেকে।
তাঁদের বক্তব্য, লোকসানের ধাক্কা সামলাতে না পেরে বসে যাচ্ছে প্রচুর বাস। অবিলম্বে এই লোকসানের হাত থেকে বাঁচার রাস্তা না বের হলে সমস্যা আরও বড় আকার নেবে। কমিশন বাড়ানোর দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব পেট্রোল পাম্পের মালিকরা। এবারে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক সেই আবেদনে সাড়া দিয়েই লিটার পিছু ডিজেলের দাম আঠেরো পয়সা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে যেখানে আগে ডিজেলে লিটার পিছু কমিশন মিলত একানব্বই পয়সা এখন মিলবে এক টাকা নয় পয়সা। কিন্তু বাস মালিক সংগঠনগুলির মতে এরফলে কলকাতায় চলা বাসগুলির প্রতি মাসে ডিজেল খরচ বাড়ছে আনুমানিক ১২০০ টাকা। জেলায় তা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে প্রায় ১৫০০ টাকা।
রাজ্য সরকারের অনুরোধে লক্ষীপুজো পর্যন্ত কোনওরকম আন্দোলন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাস মালিকদের সংগঠন। সরকারের তরফে বলা হয়েছিল লক্ষীপুজোর পর ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করবে সরকার। কিন্তু এরই মধ্যে ফের বাড়ল ডিজেলের দাম। ফলে এবার যদি রাজ্য সরকার ভাড়া না বাড়ায় তাহলে নিজেদের পারমিট সরকারের কাছে জমা দিয়ে দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিচ্ছে বাস ও ট্যাক্সি মালিকদের সংগঠন ।
লক্ষীপুজোর পরই ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা করার কথা ছিল সরকারের। কিন্তু ডিজেলের দাম ফের বাড়ার ফলে এবার আর আলোচনা নয়, অবিলম্বে ভাড়া বাড়ুক এমনটাই চাইছেন বাস মালিকরা।