রাস্তায় বাস নেই, ভোগান্তি চরমে সাধারণ মানুষের
পাঁচটি বাস মালিক সংগঠনের ডাকে আজ রাজ্য জুড়ে বেসরকারি বাস ধর্মঘট চলছে। বেসরকারি এবং মিনিবাস মিলিয়ে প্রায় ৪৯ হাজার বাস রাস্তায় চলবে না বলে জানিয়েছেন ধর্মঘটীরা। ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৩- র ডিসেম্বর, ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে পরিবহণমন্ত্রীকে মোট ৪৮ বার চিঠি দিয়েছেন বেসরকারি বাস মালিকরা।
দিনভর বাস ধর্মঘটে ভোগান্তি চরমে উঠল সাধারণ মানুষের। বাস না পেয়ে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা, লম্বা লাইনের ছবি দেখা গেছে বহু জায়গায়। কোথাও আবার বাস না পেয়ে ট্যাক্সি কিংবা অটো ধরে গন্তব্যে রওনা হতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে।
ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে রাজ্যজুড়ে বাস ধর্মঘট। এর জেরে সোমবার সকাল থেকে কলকাতার রাস্তা থেকে উধাও হয়ে যায় বাস। বেসরকারি বাসের দেখা প্রায় মেলেইনি । সরকারি বাস চললেও তাতে মানুষের দুর্ভোগ আটকানো যায়নি। বাস মালিকদের দাবি, বাড়াতেই হবে ভাড়া। সরকার অনড় ভাড়া না বাড়ানোর সিদ্ধান্তে।
এদিনই বাইরে থেকে এ রাজ্যে পা দিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন অনেকে। গন্তব্যে পৌছতে নাজেহাল হতে হয়েছে মানুষজনকে। তা সে অফিস পৌছনই হোক কিংবা জরুরি কোনও কাজে যাওয়া। তবে বাড়ি থেকে বেরোনই সার। কোথাও আধঘণ্টা, কোথাও আবার ঘণ্টাখানেকও লাইন দিতে হয়েছে বাসের অপেক্ষায়।
এসবের মধ্যেই লেকটাউন এলাকায় বাস থেকে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। ভিআইপি ক্রসিংয়ে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন অনিতা দাস। সল্টলেকের জলসম্পদ ভবনে যাওয়ার জন্য দুশো একুশ নম্বর বাসে উঠে ছিলেন তিনি। নামার সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে।
বাসের পিছনের চাকা ওই মহিলার পায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে তাঁকে। আটক করা হয়েছে বাসটিকে।
ধর্মঘটের দিনে কর্মব্যস্ত সল্টলেকেও ধরা পড়েছে শুনশান রাস্তাঘাটের ছবি। সার বেধে বাস দাঁড়িয়ে ছিল অনেক জায়গায়। পথে নামেনি। দুর্ভোগ চরমে ওঠে সাধারণ মানুষের। সকলেরই প্রশ্ন, সরকার-বাস মালিকদের মাঝে পড়ে এভাবে দুর্ভোগের শাস্তি তাঁদেরকেই বারবার কেন পোহাতে হবে?
প্রয়োজনে জোর করে বাস চালানোর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। আজ বাস ধর্মঘটের জেরে সকাল থেকেই রাস্তা থেকে উধাও বাস। মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। যদিও পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাস বেলা বাড়লে সমস্যা অনেকটাই মিটে যাবে। বেলার দিকে বাস না চললে রিকুইজিশন দিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী।