প্রাথমিকে শূন্যপদ পূরণের জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
প্রাথমিকে আঠেরো হাজার শূন্যপদ পূরণের জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান মার্চের মধ্যেই নেওয়া হবে এই পরীক্ষা।
প্রাথমিকে আঠেরো হাজার শূন্যপদ পূরণের জন্য ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সোমবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী জানান মার্চের মধ্যেই নেওয়া হবে এই পরীক্ষা।
শুক্রবারই প্রকাশিত হয় টেটের ফলাফল। দেখা যায় প্রায় ১৭ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র এক দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। এরপরই ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে ফেল করা ছাত্রছাত্রীদের ফের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ঘোষণা করে শিক্ষা দফতর। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে বারবার ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার টোপ দিয়ে আদতে ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে সরকার। শুক্রবারই প্রকাশিত হয় প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা টেটের ফলাফল। পাশ করেন মোট পরীক্ষার্থীর মাত্র এক দশমিক শূন্য সাত শতাংশ। ফলে পরীক্ষার ফল প্রকাশের পরও থেকে যায় ১৮ হাজার শূন্যপদ। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য ছিল ফল হয়েছে ভালোই।
কিন্তু এরপরই ছাত্রছাত্রীদের ক্ষোভের আঁচ পেয়ে ফের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানায় শিক্ষাদফতর। অনেকেরই ধারনা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ নয়। এর মাধ্যমে আদতে চাকরির পরীক্ষাকে খুড়োর কলের মতই ব্যবহার করতে চাইছে সরকার। এ বছর পঞ্চায়েত ভোটের আগে সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে চাকরি হবে পঞ্চাশ হাজার ছাত্রছাত্রীর। আর প্রাথমিকে চাকরি হবে প্রায় ৪০ হাজার। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে স্কুলসার্ভিস কমিশনে চাকরির নিয়োগপত্র পেয়েছেন প্রায় তিরিশ হাজার। প্রাইমারির ফলাফলে দেখা গেছে সতেরো লক্ষের মধ্যে পাশ করেছেন মাত্র আঠেরো হাজার।
ফলে যে বিপুল পরিমাণ চাকরির আশ্বাস দিয়েছিল সরকার। কার্যক্ষেত্রে তা মোটেই কার্যকর হচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, নির্বাচনের আগে চাকরির টোপ দেওয়া হলেও, ইচ্ছাকৃত ভাবে প্রশ্ন করা হয়েছিল অত্যন্ত কঠিন। ফলে পাশ করতে পারেননি অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী। আর তার ফলেই ক্রমাগত ক্ষোভ বাড়ছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। এরপরই সোমবার বিধানসভায় শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেন ..... মার্চ মাসেই ফের নেওয়া হবে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা।
সম্ভবত আগামী মে মাসেই দেশে লোকসভা নির্বাচন। অনেকেরই ধারণা লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের প্রাথমিককে খুড়োর কলের মত ব্যবহার করতে চাইছে সরকার। ফলে লোকসভা নির্বাচনের আগে মার্চ মাসে যে পরীক্ষা হচ্ছে তা আদতে ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভুতির জন্য নয়। রাজনৈতিক মহলের মত যদি সহানুভুতির জন্যই পরীক্ষা নেওয়া হত তাহলে আরও আগেই পরীক্ষা নেওয়া যেত। অন্যদিকে পাশের হার বাড়াতে গেলে আরও সহজ করতে হবে প্রশ্নপত্র। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠবে পরীক্ষার মান নিয়ে। তাই চাকরিটাকে প্রলোভনের মত দেখিয়ে সরকার আদতে লোকসভা ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।