তৃণমূলকে জেতানোর দায়িত্ব এখন পুলিসের কাঁধে! কনস্টেবলের গুলিবিদ্ধ হওয়া নিয়ে মন্তব্য দিলীপের
সমস্ত সমাজ বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল পার্টিটা আছে গন্ডগোল মারপিট হবেই। পুলিসের ক্ষমতা নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়া। পুলিস ওই করছে পার্টিটাকে চালিয়ে ভোট জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে, কটাক্ষ দিলীপের।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সোমবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বসিরহাটে এক পুলিস কনস্টেবল গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাই নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। শাসক দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, 'আগেই বলছিলাম পুলিসের এখন বড় কাজ হচ্ছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধ মেটানো। টাকা পয়সা তুলে দেওয়া, সংগঠনের কাজ করা, ভোটে জেতানো। তৃণমূলের মধ্যে যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে সেটা পুলিসকে দিয়ে মেটাতে হচ্ছে এবং পুলিসকে গুলি খেতে হচ্ছে। সমস্ত সমাজ বিরোধীদের নিয়ে তৃণমূল পার্টিটা আছে গন্ডগোল মারপিট হবেই। পুলিসের ক্ষমতা নেই সমাজবিরোধীদের গায়ে হাত দেওয়া। পুলিস ওই করছে পার্টিটাকে চালিয়ে ভোট জিতিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছে। জানিনা আর কতজনকে শহীদ হতে হবে।
আরও পড়ুন, Jorabagan: শহরের এক শৌচাগারে পড়ে রয়েছে ভ্রূণ! তদন্তে নামল পুলিস
এদিন রাজ্যের পুরসভা এবং স্বাস্থ্য দফতরের পরিষেবায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে সোমবার রিভিউ মিটিংয়ের পর উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, "আমায় কেনও বলতে হবে। খুব খারাপ লাগে। এ যেন বাচ্চা ছেলে। রোজরোজ ললিপপ ধরিয়ে দেবে হাতে। কখনও সরকার বদল হয়, কখনও অফিসার বদল হয়। পলিসি তো চেঞ্জ হয় না। তাহলে কেন এসব রেগুলারলি মনিটার করা হবে না?'' এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভালো ভালো কথা উনি এখন বলছেন। আমি জানি না পরিস্থিতিটা কি। মোদীজি না ডাকতেই দেখা করতে যাচ্ছেন। এখানে আবার গঙ্গারতি করছেন। বয়স হলে মানুষের সৎ বুদ্ধি হয় সেদিকেই যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি অফিসারদেরকে কি কাজ করতে দিয়েছেন উনারা। তাদেরকে দিয়ে সরকার লক্ষী ভান্ডার বিতরণ করাচ্ছেন। লোক নেই দফতরে সব করতে হচ্ছে। যে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড দিয়েছেন তাতে কাজ হয়নি। হাসপাতালে নিচ্ছে না, তার দোষ অফিসারদের নয়। আপনি সবকিছুতে রাজনীতি করবেন তার দায়িত্ব অফিসারদের ঘাড়ে চাপাবেন। এসব বলার জন্য বলতে হয়।''
গঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকেও ধমক দিয়েছেন। যদিও এ বিষয়ে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা বলেন, ''কাজ হচ্ছে না এটা সবাই জানে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন লোক খেপে যাচ্ছে। তখন উনি ববি হাকিমকে ধমকাচ্ছেন। ববি হাকিম গিয়ে হয় পুলিসকে ধমকাচ্ছেন নয় না হলে পোর্টের নাম নিচ্ছেন। উনারা কি করবেন মানুষ যেটা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। উনারা বলছেন, মানতে বাধ্য হচ্ছেন যে কোন কাজই হয় না। ৯০% কাজ হয়ে গেছে পাঁচ বছর আগে বলেছিলেন এখন দেখা যাচ্ছে কিছুই হয়নি। চোখে চোখ রেখে কথা বলছে জঙ্গলমহলের মহিলারা। মমতার চোখে চোখ রেখে বলেছেন, আমরা কিছুই পাইনি। যেটা আমরা বলতাম সেটা আজ সাধারণ মানুষ বলছে। আর উনারা স্বীকার করতে আরম্ভ করেছেন এটা। কিন্তু বলে লাভ কি আছে? পোর্টের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন, পুলিসের ঘাড়ে দোষ চাপাবেন। কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দেবেন এতে সমাধান হবে না। আপনি কি করবেন ভোট নিয়ে খালি রাজনীতি করবেন? কাজ করে দেখান কিছু সময় আছে এখনও।''
আরও পড়ুন, Calcutta High Court: জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে তৃণমূলের পার্টি অফিস! ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের