আজ বিজয়া দশমী, সিঁদুর খেলায় আর মিষ্টি মুখে মাকে বিদায় দেওয়ার পালা, চারদিনের সফর শেষে মর্ত্যলোককে কাঁদিয়ে কৈলাস পাড়ি দেবেন উমা
বচ্ছরকার আবাহন পর্ব শেষ। তিনদিনের পুজো শেষে বিজয়া দশমীর সকাল থেকেই বেজেছে বিসর্জনের সুর।
আজ বিজয়াদশমী। চারদিন বাপের বাড়িতে কাটিয়ে আজ ফের উমার কৈলাসে ফেরার পালা। সকাল থেকেই বনেদী বাড়ি, আবাসন এবং ঐতিহ্যশালী মণ্ডপগুলিতে শুরু হয়ে যায় সিঁদুর খেলা। দেবীকে মিষ্টি মুখ করিয়ে বরণ করে নিয়ে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা। মনে একটাই প্রার্থনা 'আবার এসো মা'। অপেক্ষা আরও একটা বছরের।
বচ্ছরকার আবাহন পর্ব শেষ। তিনদিনের পুজো শেষে বিজয়া দশমীর সকাল থেকেই বেজেছে বিসর্জনের সুর।
বাগবাজার সর্বজনীন। কলকাতার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুজো। ঐতিহ্য-আচার মেনে প্রতিবছর দশমীতেই নিরঞ্জন পর্ব বাগবাজার সর্বজনীনের প্রতিমার। কিন্তু মা কিংবা মেয়ে, কাউকে তো আর খালি হাতে বিদায় দেওয়া যায়না। তাই দশমীর সকাল থেকেই মণ্ডপে ভিড় করেছিলেন মহিলারা। প্রথমে দেবীবরণ। তারপর সিঁদুরখেলায় বিদায়পর্বের সূচনা।
চারদিনের প্রাণঢালা আনন্দস্রোত পৌঁছে গেছে শেষ লগ্নে। তাই বিষাদসিন্ধুতে ডুবে যাওয়ার আগে সিঁদুরখেলায় অন্তরের সব আবেগ উজাড় করে দেওয়া।
মুদিয়ালির মণ্ডপে সকালে দেখা গেছে কিছুটা অন্য ছবি। মহিলারাই ব্যস্ত দধিকর্মার আয়োজনে।
বেলা গড়াতেই দেবীবরণ। তারপর শুরু হয় সিঁদুর খেলা।
দশমীর সকালে সল্টলেকের এফবি ব্লকের মণ্ডপেও ছিল রীতিমত উতসবের মেজাজ। বেলা গড়ালেই মণ্ডপ ছেড়ে রওনা দেবেনদেবী দুর্গা। কিন্তু তাতে কী? উত্সবের শেষ মুহুর্তেও উজাড় করে দিতে হবে নিজেদের। আনন্দের সাগর থেকে উঠে আসা জোয়ারের স্রোতে ভেসে পড়া, ভাসিয়ে নেওয়া সঙ্গীসাথীদের।
পুজো আসে, পুজেো যায়। দশমীর পর আবার এক বছরের প্রতীক্ষা। প্রতিবছর এই চারটে দিনের অপেক্ষায় থাকেন আপামর বাঙালি। কিন্তু দশমী এলেই মনটা কেঁদে ওঠে। আবার একটা বছরের অপেক্ষা। দেবীবরণ এবং সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে আগামী বছরের পুজোর দিন গোনা শুরু হয়ে গেল।