নেই চায়ের আড্ডা-ব্রেক ফাস্টের তাড়া, উচ্ছেদের প্রতিবাদে শুনশান সেক্টর ফাইভ
শুত্রবার রাতের একটি সিদ্ধান্ত, নেই কোনও সরকারি নোটিস। কেবল সৌন্দর্যায়নের আওতায় সেক্টর ফাইভে অস্থায়ী দোকান উচ্ছ্বেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সিদ্ধান্তের পরই রাতারাতি মাইকিং করে শুরু হয়ে যায় প্রক্রিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নেই কোনও সরকারি নোটিস। আচমকাই উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত। রাতারাতি মাইকিং করে প্রক্রিয়া শুরু। প্রশ্নের মুখে কয়েকশো মানুষের অন্ন সংস্থান। প্রতিবাদে শুক্রবার বন্ধ সল্টলেক সেক্টর ফাইভের সাড়ে সাতশো স্টল।
চা-সিগারেট, ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, দিনের ৯-১০ঘণ্টা অফিসে কাটানোর জন্য মোক্ষম জিনিসগুলির জন্য আমাদের ভরসা করে থাকতে হয় ওঁদেরই ওপর। ‘আমরা’ অর্থাত্ সেক্টর ফাইভের বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থায় কর্মরতরা। সাতসকালে অফিসে পৌঁছে এক কাপ চা, সিগারেট আর সঙ্গে টিফিন খাওয়ার জন্য দ্বারস্থ হতে হয় ওঁদের স্টলে। কিংবা বাড়ি থেকে খাবার না আনায় লাঞ্চ টাইমেও শরণাপন্ন হতে হয় ওঁদেরই কাছে। কিন্তু আজ ওই সাড়ে সাতশো মানুষেরই অন্ন সংস্থান প্রশ্নের মুখে।
আরও পড়ুন: কেন এতদিন অধরা ছিল মজিদ খুনে মূল অভিযুক্ত মুন্না খান?
শুত্রবার রাতের একটি সিদ্ধান্ত, নেই কোনও সরকারি নোটিস। কেবল সৌন্দর্যায়নের আওতায় সেক্টর ফাইভে অস্থায়ী দোকান উচ্ছ্বেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সিদ্ধান্তের পরই রাতারাতি মাইকিং করে শুরু হয়ে যায় প্রক্রিয়া।
তথ্য প্রযুক্তি তালুকে এদিন পা রাখলেই মনে হবে কোনও কিছু একটা ‘মিসিং’। চায়ের দোকানগুলিতে আড্ডা নেই। ব্রেক ফ্রাস্ট পর্ব সারার পর দুপুরের খাবার তৈরির কোনও তাড়াহুড়ো নেই। ফাঁকা রাস্তায় বন্ধ দোকানপাট। সকালে খাবারের জন্য হাহাকার রাতের শিফটের কর্মীদের। বেলা গড়াতে বাড়ে আরও ভোগান্তি।
অফিসকর্মীদের দুর্ভোগ তো হচ্ছে, তবে হকাররা পড়েছেন অথৈ জলে। উচ্ছেদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শুক্রবার দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানালেন হকাররা। উচ্ছেদ হলে, ওঁদের পেটে টান তো পড়বেই, মাথায় হাত পড়বে দেড় লক্ষ অফিসকর্মীরও।