সংগ্রামপুরে প্রশাসনিক গাফিলতি?

আমরি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের সবরকম সাহায্য পেয়েছিল হতভাগ্য পরিবারগুলি। কিন্তু সংগ্রামপুরের বিষ মদ কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের ভূমিকা। বিষমদে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৪৩। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় দেড়দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে যাননি মুখ্যমন্ত্রী।

Updated By: Dec 15, 2011, 07:11 PM IST

আমরি কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের সবরকম সাহায্য পেয়েছিল হতভাগ্য পরিবারগুলি। কিন্তু সংগ্রামপুরের বিষ মদ কাণ্ডে প্রশ্নের মুখে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রশাসনের ভূমিকা।
বিষমদে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৪৩। কিন্তু ঘটনার পর প্রায় দেড়দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনাস্থলে যাননি মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে ছিল না চিকিৎসার ন্যূনতম পরিকাঠামো। রোগীদের হাসপাতালে নিয়ে যেতে গিয়েই হিমশিম খেতে হয় রোগীর পরিবারকে। পথেই মৃত্যু হয় অনেকের। কেন এত উদাসীন মুখ্যমন্ত্রী? উঠছে সেই প্রশ্নই।  
গত শুক্রবার আমরি কাণ্ডের জন্য যদি তিনি আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস বা হজ কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করতে আসতে না পারেন, তাহলে বিষ মদে এতজনের মৃত্যুর পরেও তিনি কেন সংগ্রামপুরে না গিয়ে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে গেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়েও। আমরি কাণ্ডের সময় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে প্রশাসনের কাজ তদারকি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর এই ভূমিকার জন্যই তত্পরতার সঙ্গে কাজ করেছে প্রশাসন। কিন্তু সংগ্রামপুরে বিষ মদ কাণ্ডের সময় মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে যাননি। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীও বুধবার গিয়েছেন শেষ বিকেলে। অভিযোগ উঠেছে, অসুস্থদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে বা গুরুতর অসুস্থদের কলকাতার হাসপাতালে পাঠানোর ক্ষেত্রে চূড়ান্ত গাফিলতি দেখা গেছে। 
প্রশ্ন উঠেছে, আমরি কাণ্ডে যেখানে এত তত্পরতা, সেখানে কেন সংগ্রামপুরের ক্ষেত্রে প্রশাসনের এই উদাসীনতা। প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে ঘটনাস্থলে গেলে কী সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতো না প্রশাসন।
 
আমরি কলকাতায় বলেই কী প্রশাসনের সমস্ত মনোযোগ পড়েছে সেখানে। আর কলকাতা থেকে দূরের বলেই কী সংগ্রামপুরের দরিদ্র মানুষেরা বিষ মদের বলি হয়েও থেকে গেলেন প্রশাসনের নজরের বাইরে। রাজারহাটে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সেই বিতর্কই তৈরি হল।

.